সুন্দর জীবন, শৈশব, কৈশোর
আর যৌবন রসনার;
জীবন শেষে এসে দেখি,
মোর শূন্য চারিধার।


কি দেখলাম? কি শিখলাম?
কি পেলাম ধরায়?
শূন্য হাতে আসা যাওয়া,
ওই শূন্যই নিলয়।


আপন বলে যাদের ভাবলাম,
আপন হলো না;
আপন ছিল শুধুই একজন,
তিনি জন্মদাত্রী মা।


সুখে-দুখে রাখত কোলে,
বলতো খোকা আয়;
বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে,
দেখতো না ডান-বায়।


বাকি ছিল বন্ধু সুজন,
তারাও চলে গেল;
বাকিরা সব স্বার্থের দাস,
ভাবে কতটুকু পেল।


পাওয়ার অংক কম হলে,
মুখ ফিরিয়ে নেয়;
দেওয়ার কথা হলেই শুধু
পশ্চাৎ পানে ধায়।


এইতো মোদের আপনজন,
কেমনে ভালোবাসি;
তাকাই যখন  চারিধারে,
মিলিয়ে যায় হাসি।


প্রেম-ভালোবাসা ধর্মের কথন,
ভাঁওতাবাজের কথা;
তাহার খোঁজে ছুটলাম পথে,
মিলল শুধুই ব্যথা।


প্রভাত বেলায় শুধুই আলো,
অস্ত বেলায় আঁধার;
আঁখি ক্রমে বন্ধ হবে
থাকবেনা সময় সাধার।


নিজের মনে কথা বলি,
গভীর রাতে একা;
দুঃখের কথা শুনবার সাথী?
পার্শ্ব আমার ফাঁকা।


সংসারের এই মোহ মায়া,
জটিল মনে হয়;
একা আসা, একা যাওয়া,
কঠিন সবাই কয়।


দীর্ঘ পথ পাড়ি দিলাম
সত্তর ছুঁইছুঁই;
যাবার বেলায় লাগবে আমার,
সাড়ে তিন হাত ভূই।


৩০ শে চৈত্র, ১৪২৭,
ইং ১৩/০৪/২০২১,
মঙ্গলবার রাত ১২:৪১। ১২৯১, ১৮/০৪/২০২১।