গিরিরাজ তার কন্যা জামাই
নাতি-নাতনি নিয়ে আছে দাড়ায়ে
হিমশৈল শিখরে।
এখনই বুঝি নামবে তাঁহারা
ধরার মর্ত ধামেরে।।


অপেক্ষায় রয়েছে মর্তের মানুষ
সাজায়ে আসন পীড়ি রে;
যার যাহা আছে তাই নিয়ে বসে
অভ্যার্থনা দেবে তাঁদের মায়েরে।


কল্পনার এই গল্পতে
নানান রঙের রং মেখে;
জীবন্ত করে তোলে
আনন্দে বাজি রেখে।


হায়রে বিশ্বাস, হায়রে নিঃশ্বাস,
সত্য বলো কে?
সবই আজ ছড়িয়ে গেছে
দিকচক্রবালে যে।


এই কৃষ্টি এমন সৃষ্টি
যায় না মোছা কিছুতেই;
সত্য মিথ্যা গুলিয়ে যায়
আলো-আঁধারের বৃষ্টিতেই।


জ্ঞান, বিজ্ঞান আর চিৎচেতনা
মিলিয়ে যায় অতলে;
সৃষ্টিছাড়া দেয় না নাড়া পড়ে থাকে
তরল গরল বোতলে।


এইতো মানুষ এইতো আমরা
যুগের সাথে চলতে চাই;
আর কোথা থেকে কোথায় যাব
কোথায় গিয়ে মিলবে ঠাঁই?


ভাবতে গেলে কষ্ট হয়
মানুষের মনুষ্যত্বের এই চেতনায়;
বুকের মাঝে ঝড় ওঠে যে
শুধুই হাহাকারের সেই বেদনায়।


যাবে কেটে দিনগুলো ওই
হাসি কান্নার চোখের জলে;
নিথর দেহ পড়ে রবে
মৃত্যু সীমার সেই অতলে।


তবুও কি ভাববো না আর-
ভাসবো আমরা স্রোতের তালে?
উজান বেয়ে কেউ যাবে না-
সবুজে ঘেরা খাড়ায় উতরাই ঐ সমতলে?


১২ ই আশ্বিন, ১৪২৯,
ইং ২৯/০৯/২০২২,
বৃহস্পতিবার বেলা ১১:২৪। ১৮১২, ০১/১০/২০২২।