প্রেম ভাস্বর, প্রেম চিরন্তন,
প্রেমের তুলনা প্রেম;
প্রেমের স্মৃতি বয়ে চলে,
ওই অনামিকার হেম।
স্বকীয়া, পরকীয়া মিলেমিশে এ কীয়া?
মানুষকে ফিরালো বুঝি পশুত্বে;
৪৯৭ ধারার অমান্যতার রায় দিয়ে।
কি পুরুষ? কি নারী?
কে কার বাঁধিবে হিয়া?
ভালবাসায়, আদরে, স্নেহে,
কিংবা হৃদয়ের আবেগ দিয়া?
যৌনতা জীবনের শুরু থেকে,
শেখাতে লাগেনা কেউ কাউকে;
শিখে নেয় এই প্রকৃতির কাছে,
জীবনের কঠিন চলার ফাঁকে।
মানব জীবনের এ কী জয়? অবাক বিস্ময়!
১০ই আআস্বিন, ১৪২৫, ইং ২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮,
দেশ পেলো, পাঁচ বিচারপতির রায়,
কেটে গেল সব পরকীয়ার ভয়।
সাধু, সজ্জন, যাদের ছিল মন,
আত্ম-সংযমে বাঁধা;
এখন আসুক তাঁদের জীবনে,
ঘন ঘন নেমে রাঁধা।
যত ক্ষোভ, যত রোগ,
ঐ সেই যৌনতা নিয়ে;
আদরের ধনীর দুলাল তাঁরা,
মানে না সামাজিক বিয়ে।
খাবারের অভাব নয় তাঁদের স্বভাব,
গরীবের সর্বস্ব কেঁড়ে নিয়ে যায়;
আর গরীব সেই দুঃখী মানুষগুলো-
পথে পথে ভিক্ষা মেগে খায়।
ভিখারিরা ও পথে ঘাটে সন্তান জন্ম দেয়;
ভিক্ষাবৃত্তি করে তাঁরা বংশ পরম্পরায়,
তাঁদের সুস্থ জীবনের তরে-
কেন একজনও বিচারপতির পায় না রায়?
বার বার মনে হয় ধনীদেরই হবে জয়,
বুঝি বিচারালয় নিয়েছে তাঁদের-
ষড়রিপুর ইচ্ছা পূরণের দায়।
যৌন-প্রবৃত্তি মিটানো ছাড়া,
ধনীদের আর তো কোন অভাব নাই,
তাই তাঁরা তুলে নেয় কুঁড়ি কিংবা প্রস্ফুটিত গোলাপ,
যেথায় যেমন পায়।
গরীবের দুমুঠো খাবারের জন্য,
শাসকের শোষণের বিচারের জন্য,
কোথায় আজ বিচারালয়?
সব পড়ে থাকে ধনীদের-
সেই ডানে আর বায়।
যে দেশের নেতারা জাতির স্বাধীনতায়,
রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ভয় পায়;
থাকে তাঁদের প্রানের শান্তি বজায়,
শুধুই চামচাত্বের পাট্টার স্বাধীনতায়।
ধনীর দালালি শাসকরা করে,
দেশের মঙ্গলের জন্য নয়;
যৌনতা দিয়ে ভুলিয়ে রাখা,
বন্য পশুরা যেমন চায়।
হায়রে দেশ, হায়রে জাতি!
হায়রে ন্যায়ের বিচারালয়;
ধনীর জন্য সবই হবে,
সাধারণ গরীবের জন্য নয়।
মা চিরদিনের জন্য হারায়ে যাবে,
মনুষেরা পশুত্ব পাবে;
ভারতবাসির সেই অন্তর্জলি যাত্রা,
এমনি ভাবেই শুরু হবে।
১১ই আশ্বিন, ১৪২৫,
ইং ২৮/০৯/২০১৮,
শুক্রবার, বিকেল ৫টা। ৫৯৭ তাং ২৯/০৯/২০১৮।