পৌষ সংক্রান্তি পিঠে পুলি উৎসব,
ঘোড়দৌড়, গরু দৌড় জনগণের ছিল রব।
বনভোজনের পালা পৌষের শেষে,
আজও পলকে পলকে মন ওঠে মেতে।
দলবেঁধে বন্ধুরা জমি থেকে নাড়া
এনে,
বুড়ির ঘর বানাতাম দলবেঁধে এক সনে।
বিলের জলা থেকে চালুনিতে মাছ ধরা,
বালতি বালতি কৈ মাছ ছিলনা মাছের খরা।
রাতের আধারে লাউ চুরি, কপি চুরি, পড়শীর ক্ষেত থেকে,
সেই দিনগুলো আজও মনে আছে গেথে।
চাঁদা ধরে পয়সা জোগাড় করে দুধ, নলেন গুড় কেনা হতো কেন্দুয়া বা বাজিতপুর বাজার থেকে,
বাড়ি থেকে চাল, চালের গুঁড়ো নিয়ে যেতাম সবে মিলে।
পিঠা পুলি পায়েস ছাড়া কি রসনার সাধ মেটে,
পিসি, বোন, দিদিরা, রান্না করে দিত শিলেতে মসলা বেটে।
আহা কি অপূর্ব প্রাণ ভরে খেয়ে নিয়ে,
আসর বসাতাম গান কবিতা আর পরোন কথা দিয়ে।
ভোর হওয়ার আগে বুড়ির ঘর জ্বালিয়ে দিতাম জ্বলিত দাউ দাউ করে,
আনন্দে হই হই করে রাত জাগা সবে মিলে বাড়ি ফিরিতাম সেই ভোরে।
সেই স্মৃতির পৌষ সংক্রান্তি আর পুলি পিঠা,
আজ ঠোঁটে লেগে আছে অনুভবি তার মিঠা।


২৯শে পৌষ, ১৪২৬,
ইং ১৫/০১/২০২০
বুধবার সকাল ৯টা। ৮৮৭, ১৬/০১/২০২০।


প্রভাতী শুভেচ্ছা সহ পৌষ পার্বণের ভালোবাসা রইলো।