একদিন দেখা হলো-
সেই ভিখারিটির;
যে ছিল শান্ত, সভ্য,
অতি ধীরস্থির।
সব তাঁর ঠিক আছে,
শুধু সে ভিক্ষা করে;
এ যেন স্বভাব তাঁর,
পেয়েছে জন্মসূত্র ধরে।
একদিন জিজ্ঞাসিলাম তাঁরে,
তুমি তো খেতে পার কাজ করে;
তবে কেন- এই ভিক্ষাবৃত্তি?
বললো-“ঘুরেছি বহু দোরে দোরে”।
মাতা-পিতা ছাড়া আমি,
খোলা আকাশ তলে থাকি;
ভিক্ষাবৃত্তি করে খাবো,
যে-কটাদিন আছে মোর বাকী।
ঘৃনা নিয়ে বেঁচে আছি,
আমায় কে দেবে আশ্রয়?
মাতা-পিতা শত্রু মোর,
সমাজ ওদের দিয়েছে প্রশ্রয়।
জন্ম-মৃত্যু নিয়ে আর-
ভাবি না তো আমি;
কোথায় আমার শেষ হবে,
জানেন অন্তর্যামি।
ইং ১৭/০৮/১৯৯৪,
শিলবারি, আসাম।