রজনী, লালন, অতুল, দ্বীজে্ন,
গেয়েছে জীবনের গান;
আর দুই কবি নজরুল রবি
বেঁধেছে হেথায় তান।


হৃদয় আবেগে ঝরিয়া পড়েছে
সুরের ঝর্ণা ধারা;
শহর, মাঠে, প্রান্তর ও ঘাটে
অন্তরে দিয়েছে নাড়া।


বাউল, ভাটিয়ালী আর করতালি
সর্বত্র শুনিতে পাই;
আপন-পর ভুলে পরাণে সুর তুলে
আমরা আনন্দ গাই।


ভরা নদীর বুকে ভাটীয়ালী সুর ফুঁকে
পাল তুলে মাঝিরা চলে যায়;
কাক্ষে কলসি লয়ে গাঁয়ের বধূরা ওরে
আড় চোখে নদী পানে চায়।


মরালের বেশে জলে ভেসে ভেসে
ধানুরিয়া ধান কেটে যায়;
ভরা শ্রাবণতে আউশ ধানের ক্ষেতে
ভাটিয়ালী-ভাওইয়া সুরে ভাসায়।


ওই দিন শেষে নিশি বেশে
আসে ফিরে আঁধার;
মুরসিদি জারিগান, ভাওইয়া সারিগান
সময় এই তো সাধার।


প্রভাতের কুঞ্জবনে ভ্রমরের গুঞ্জরনে
কীর্তনের সুর শোনা যায়;
যেন যমুনার পাড়ে শ্যামের বাঁশি বাজে
সেই তান হৃদি পানে ধায়।


৪ঠা মাঘ, ১৪২২,
ইং ১৯/০১/২০১৬
মঙ্গলবার সকাল ৮টা। ২১৫০, ১/১৪৯, ০৭/১০/২০২৩।