শপিংমল আর গুগুল কল,
         সবাই যে করছে ছল;
জনসাধারণ যাবে কোথায়?
        রক্ষা করবে কোন দল?


দেশ জাতি যাচ্ছে রসাতলে,
দেখছে না কেউ চক্ষু মেলে।
   শাসক, প্রশাসক সব নির্বিকার;
সবাই যেন এক-কাট্টা,
কোথায় যেন লাগছে খটকা,
  সাধারণের উপর চলছে অবিচার।


টিভি আর মোবাইল দিয়ে,
আজ কারারুদ্ধ চেতনার হিয়ে,
        সবাই যেন মুক ও বধির,
শিক্ষাদীক্ষা তো শেষের পথে,
টিভি মোবাইলে চোখ রেখে,
       জ্ঞানী-গুনীরা  হচ্ছে অধীর।


সিরিয়াল আর উলঙ্গ চিত্র,
নবীনদের আজ পরম মিত্র,
এই দেখিয়ে শাসক গড়বে কার ভবিষ্যৎ;


সাধারণের মুখ বন্ধ করে,
চতুররা সব প্রাসাদ গড়ে,
     ব্যক্তি স্বার্থের এই যে সহজ পথ।


চাওয়া পাওয়ায় মিলে মিশে,
শকুনরা আজ পাচ্ছে দিশে,
চারিদিকে মায়ের কোল শূন্য হয়ে যায়;
অর্থ দিয়ে ভোটের বৈতরনী,
পার করে দেয় সেই শকুনি,
শাসককূল তাঁদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়।


মরছে মরুক জনগন তাতে তাঁদের কি?
দেশের টাকা বিদেশীদের যোগায় আজ ঘি।


ললিত মোদী, বিজয় মালিয়া,
মেহুল চোকসি, নীরব মোদির দল,
            আরও কত কত বল;
দেশ ও জাতির সম্পদ নিয়া-
       বিদেশে গিয়া করছে কোলাহল।


দেশের শাসক চুপটি করে,
পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে,
এখন বড় বড় কোথা বলে,
  ভাবটি করে এমন তাঁরা যেন কিছুই জানে না;
দেশ, প্রশাসন, ঘুমিয়ে ছিল,
আহারে কেমন কেলো!!!!
ভাবতে ভীষণ অবাক লাগে,
  দেশের সম্পদ আর কোনদিন দেশেই ফিরবে না।


ক্ষমতার ঐ সিংহাসনে বসতে গেলে,
সংবিধানের নিয়ম কানুন বুঝতে লাগে,
নয় সে মাসি, নয় সে পিসি, নয় আত্মীয় কারও;
দেশের দায়িত্ব তাঁহার ঘাড়ে,
জনগণের প্রতি দায় বাড়ে,
  আত্মোৎসর্গ করতে হবে জেতও কিংবা হারও।


ধ্বংসের ছবি আঁকছে শিল্পী, কবি,
              ওদের চেতনা ফিরাবে বলে;
তাঁরাও দেখি আজ নেয় আশ্রয়,
            রাজনীতির দাদা-দিদির কোলে।


ভাবতে লজ্জা হয়, চেতনা কোথায় লুকায়ে রয়,
কেন? এতো লোভ জাগুক চেতনার ক্ষোভ,
মনের মাঝে জ্বলুক আগুন, আসুক ফাগুন,
                   যাক পুড়ে যাক খাদ;
জগৎ জুড়ে আলো ছড়াক নিঃখাদ সোনার চাঁদ।


জাগবে ধরা জাগবে মানুষ,
ধ্বংস হবে সকল ফানুস,
      হেথায় থাকবে না আর মন্থনের হলাহল;
সুখে থাকুক দেশ ও জাতি,
নতুন আলোয় কাটুক আঁধার রাতি,
  উঠুক জেগে সেই প্রভাতে চেতনার কোলাহল।
        
৩রা কার্তিক, ১৪২৫,
২১/১০/২০১৮,
রবিবার, রাত ১১টা।  ৬১৮ তাং ২৬/১০/২০১৮।