হেমন্ত যেন ,
এক সোনালী ডানারপাখি
আমার মায়ের সোনা মুখখানি ;
তার মিঠে সুরের ডাক
কভু অভিমানে ভরা
থাক তবে দূরেই থাক..
কভু ছাড়ে হাক,
আয় ছুটে আয়
তোর জন্য,
রোদ বিছিয়ে বসে আছি
আয় চুলে তোর বিলি কাটি।


হেমন্ত যেন মাঠের ডাক
ছড়ানো সবুজ ধনেপাতা
সর্ষে ফুলের দোলা
কাঁচা সোনার ঘ্রাণ
অনাবিল সবুন প্রান্তর  ,
সোনা বরণ ধান
হৃদয় পাগল করা ।


টলমল শিশির সোনারোদে বসে
সবুজ-গালিচা বিছিয়ে লিখে চিঠি ;
ছুঁয়ে দিবি বলে চেয়ে আছি পথে
আয় ছুটে আয় কাছে !


হেমন্ত যেন দুষ্ট ছেলের দল
ডাকে চুপিসারে
,আয় ছুটে  ...
ক্ষেতের আলে
ঘাসের বুকে
গড়িয়ে আসি!


সোনারোদে পায়ে পায়ে
তৃণলতায় ভাবে ভাসি
আয় জড়িয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভালবাসি !
সরষে ফুলে শিশির ফোঁটায়
মনের গহন ভিজিয়ে আসি
ভ্রমর-ফুলের প্রেম জড়ানো
মধুর হাসি দেখে হাসি !


টলটলে ওই কেওড়াজলে
মন টাকে আজ
আদ্যোপান্ত ভিজিয়ে আসি
জলে কাদায় মন ডুবিয়ে
লুকিয়ে থাকা সুখ গুলোকে
মাছের মত কুড়িয়ে আনি!