বেঢপ নগ্নতা এখন
গ্রাস করে চলেছে নগর সভ্যতা।
না সৌন্দর্য। না এগিয়ে যাওয়া
না অকুন্ঠ উচ্চারণে
কবিতার পঙক্তিমালা!
যেন এখানে থেমেই আছে
কালের চাকা সব।
হায় আমাদের এই সময়!

এক বিন্দুও এগিয়ে যেতে পারেনি
আকাশের ওই শঙ্কু মেঘ।
খন্ডিত অবয়ব নিয়ে
সূর্যের আলোও পৌঁছাতে পারেনি
সভ্যতা নামক শরীরে।
এই আমাদের সভ্যতা!

কুঁচকে শীর্ণ হয়ে যাওয়া এই ছবিটা
একটুও নড়েচড়ে উঠছে না।
তার পরনেও নেই
এ কালের এক চিলতে সুতো।
একেবারেই নগ্ন, স্থূল, ধূলিমলিন
প্রাগচারিত্রের নারীরুপী একটি অবয়ব।
এর নাম সভ্যতা!
হায়! আমাদের সভ্যতা!

হ্যাঁ। তার সমূহ গতরে, অস্তিত্বে
নেই শালীনতা। কোন চঞ্চলতা।
বোধ করি ঋতুমতী নয় সে আর।
তার সত্তায় নেই বহতা নদীর চারিত্র্য।
হ্যাঁ। বলতে গেলে নিজের ছায়ার পিছনে
উল্টোদিকেই ধাবিত হচ্ছে এই সময়।
এবং তার সাথে পিছিয়ে যাচ্ছি আমরাও!
এই তো আমাদের সভ্যতা!