হামাগুড়ি দিয়ে রাত প্রশারিত হয়
নিশাচরের ডানায়
সংশয়ী মানুষ ফিরে আসে রিক্ত হাতে
অরক্ষিত কুঁড়েঘরে ।
ন্যুজ দেহ বিছিয়ে অবসাদ ডাক দেয়
পেটের ভিতর বুড়িছোঁয়া খেলা ।
ঝাউবন থেকে ক্ষুধা জেগে ওঠে,
নাড়ির ভিতর গুমগুম;
উনুনে শূন্য হাঁড়িটার শূন্য আকাশে অনির্দেশ্য বোঝাপড়া ।
তারপর ঢেউ আসে ক্ষুধার্ত থাকার অধিকার নিয়ে
তরঙ্গের ইশারায় সান্তনার ভাষা আওরাতে থাকে
ছেলে খেলা করে হাঁ-মুখ অনীহা ঘোর ।
তাই,
খোসা-খসানো পাকস্থলী সান্তনার ভাষা বোঝে না ।