এখন মানুষেরা মানুষ হতে  চেয়েও প্রায় যন্ত্র,
কবিতা এখন তার কাছে অপ্রয়োজনীয় , অপাংক্তেও।
অমানবিক মানুষ  ব্যস্ত  যন্ত্রের মানবিক রুপ   নির্মাণে,
কবিতার আর্তনাদ আর অনুরোধ শুন্ বার সময় এখন
আর আছে কার হাতে?
তবু ও কবিতারা জন্মে আর উদ্বাস্তুর মতো শুন্ণ্যে  ভেসে থাকে,
কোন একদিন মানবিক অনুভুতির ছায়া পাবার আশাতে।
একসময় হয়তো বুধ্ধিমান যন্ত্ররা কবিতা লিখবে মানুষ হবার অভিলাষে,
আর মোহ ভঙ্গ মানুষেরাও কবিতার কাছে আশ্রয় চাইবে।
কবিতার জন্য যুধ্ধ হবে,কে বেশি মানবিক তার প্রমানে,
মানুষ আর যন্ত্র মুখোমুখি তখন , একদা অবহেলিত কবিতার দায় মেটাতে।
কবিতার জন্য রক্ত ঝরবে ,সভ্ভতার ধ্বংসের আর্তনাদ,
সেই শুন্ণ্যেই আবার প্রতিধ্বনিত হবে।
অথচ শুধু কবিতাকে বুকে ধারন করেই মানুষ পারতো
এই ধরায় তার অস্তিত্ত নিরবিঘ্নে কাটিয়ে দিতে।