নিরাকার পৃথিবীকে আকার দিলে
তুমি কেমন করে ,
সৃষ্টির আগে মহাশূন্যে কোথায় ছিলে
ভাবছি আমি ধ্যানে ।
আকাশ পৃথিবীর সৃষ্টি করলে তুমি
করলে  দিবা- রাত্রি,
চন্দ্র সূর্য তারকা-রাজি দেখে
অপূর্ব তোমার কীর্তি।
কত সুন্দর করে সাজিয়েছো তুমি
এই বিশ্বময় জগৎটাকে,
তুমি রহস্য,সৃষ্টি  তোমার রহস্য
অবাক করেছে আমাকে।
কোথা থেকে আসে বাতাস আর
কোথায় যায় চলে,
সূর্য্য উঠে কেমনে, সূর্য ডুবে যায়
চাঁদ উঠে  আকাশে ।
জোয়ার ভাটার একি খেলা চলে
নদী সাগর সমুদ্রের জলে,
পাহাড় পর্বত থেকে ঝরনা নামে
কোন শক্তির বলে।
অপূর্ব তোমার শ্রেষ্ঠ, মানুষ সৃষ্টি
দিয়েছো জীবন ও মরণ,
স্বর্গ নরক  বানিয়ে রেখেছ তুমি
তোমায় করে স্মরণ ।
নর-নারীর মধুর মিলনের ফলে
সন্তানের জন্ম হয়,
কী রহস্য গোপনে রেখেছো তুমি
বুঝতে সহজ নয় ।
মানুষ মরে গেলে পচে যায়  
আত্মা যায় চলে ,
কী রহস্য লুকিয়ে রেখেছো তুমি
দাওগো আমায় বলে।
হৃদয়ে দিয়েছ মায়া ও প্রেমের সাগর
দেহে রেখেছ কামনা,
আমায় নিয়ে খেলো লীলাখেলা
এ-কি তোমার ছলনা ।
কত কাল ধরে থাকবে তুমি হায়
রহস্য হয়ে আড়ালে,
একবার শুধু আমায় দাওনা দেখা
নয়ন দুটি মেলে।
যা কিছু দেখি তোমার অপূর্ব  সৃষ্টি
সবই রহস্য মনে হয়,
এই রহস্যময়তাকে  ভেদ করবে  কে
মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।