তারা সত্যকে বলেছিল—
"তুমি একটু কোমল হও,
নিয়মিত ফিল্টার দাও মুখে,
হাসো, শিখো অভিনয়।"
সত্য চুপ করে রইল,
সে জানে—চিৎকার করলেই বলা হবে 'অসামাজিক',
আর সত্য গর্জন করলেই তারা বলবে—"ফিতনা"।
একদিন সত্য অফিসে গিয়েছিল,
CV তে সে শুধু সত্য লিখেছিল—
কিন্তু ডিপার্টমেন্ট চাইল ‘অভিজ্ঞতা বানাতে পারা’র সার্টিফিকেট,
আর কিছু ক্ল্যাসি মিথ্যার প্রেজেন্টেশন স্কিল।
সত্য ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে চাইল,
তাকে বলা হলো—
"তুমি যদি কোচিং না করো
তাহলে তোমার মেধা অপূর্ণ।"
সত্য কেঁদে ফেললো, না
সে জানে—এখানে চোখের জলও দেখতে হয় মারকেটিংয়ের চোখে।
পরে একদিন সত্য একটা পোস্ট দিলো,
"এই সমাজে আমরা মানুষ খুঁজি, মুখোশ না"
পোস্টে কমেন্ট এল—
“ওভারথিংকিং, ডিপ্রেশন, কাফির টাইপ ভাই”
আর ইনবক্সে এক বন্ধু লিখলো—
“দোস্ত, এসব লিখিস না, মানুষ তোরে সিরিয়াস নিবে না।”
সত্যকে যখন কফিনে তোলা হলো,
কেউ জানলো না—
তার গায়ে কি কাফনের কাপড়,
নাকি আরেকটা ‘ব্র্যান্ডেড শার্ট’
যেখানে ট্যাগে লেখা—"Made in hypocrisy".