বন্ধু, সত্যের চেয়ে কী আছে আর সুন্দর?
চিরন্তন এ বাণী ধারণ ক’রেছে মম অন্তর।
সত্যের নাহি কোন ভয়, সুনিশ্চিত তা’র জয়,
বলিতে পারো কভু কি হ’য়েছে সত্যের ক্ষয়?
ধাত্রীর কোন্ বসন দিয়ে তুমি ঢাকিবে সূর্যালো?
তদ্রূপ সত্য-ধ্রুব যুগ যুগ ধ’রে জ্বেলেছে আলো।
সত্যের আছে স্বীয়শক্তি নিজ বলে সে বলীয়ান,
সত্যের-স্রোতধারা আটকা’বে আছে ক্ষমতাবান?


সত্য নাহি যায় লুকানো যতই না তোষামোদ করি’,
আপন ধারায় বয়ে যায় সে, শাশ্বত এ সত্যের-তরী।
মরিতে হ’বে এ-কথা সত্য দেখাও বাঁচিয়া আছে কে?
ঈর্ষা-বিদ্বেষ-বিদ্রূপ ক’রেও মানিতে হ’য়েছে যে হে।
সত্য ঢাকিবে কোন্ সে চাদরে দেখাও মোরে ভাই?
সত্য-বচনে চিত্তশান্তি তাই সদা সত্যের-গীত গাই।
সত্যের-রথে আসিবে বাধা তবে কেবলি তাহা ভ্রম!
আঁকড়ে ধ’র সত্যের-পথ বৃথা নাহি হ’বে সত্যের-শ্রম।


বন্ধু, সত্য হোক তোমার বসন, সত্য-কণ্ঠধ্বনি,
অটুট যারা সত্যের-পথে তারাই তো নয়নের-মণি।
কর ধরিয়া একযোগে মোরা চল গাহি সত্যের-গীত,
চির এ-সত্য কাড়িয়া নিয়াছে অবিশ্বাসীদের চিরনিদ!


বন্ধু, তোমারে তুমি খুঁজিয়া, আঁকড়ে ধ’র সত্যের-পথ,
ধূলির-প্রাণের সাধ্য কী আর, করিবে সে তোমায় বধ!
ঈশ্বর-সত্য, ধরা-গ্রহ-সত্য, সত্য-মিহির-চাঁদ-সেতার,
অমর-বীর হ’য়েছে সত্যের-রথে ল’ড়ে গিয়েছেন যাঁরা।


বন্ধু, এই সত্যই চিরশান্তি, এই সত্যই শাশ্বত-সুখ,
সত্য জপিয়া, সত্য পড়িয়া, গর্বিত মম মাটির-বুক।