মিশরের দেশে মমি করে রাখা
ছিলো যে একটি প্রথা,
প্রথাটি ছিলো ব্যয়বহুল বড়ো
এটাই ছিলো ব্যাথা।
পারতো তারাই করতে এটা
অর্থ যাদের ছিলো,
বাকীদের হতো ভুলতে সে সখ;
যতো ইচ্ছাই বলো।
এ পৃথিবীতে একটি লেকের নাম
" ন্যাট্রন" লেক জেনো,
তানজানিয়ার আরুশাতে তার
অবস্থান টি মেনো।
বহু বিখ্যাত ছবি উঠেছে
লেকটি কেন্দ্র করে,
নিজ অজান্তেই মমি হয়েছে
বহু প্রাণী সেই পাড়ে।
লেকটির পাশে রয়েছে এক
সক্রিয় আগ্নেয়গিরি,
আগ্নেয়গিরি টি বিরল বড়ো
নাম, শিরোনামে ধরি।
''*ন্যাট্রকার্বনাটাইট*'' উদগীরণ হয়
আগ্নেয়গিরি টি হতে,
"ন্যাট্রন" সে রসায়নের নাম,
সংক্ষিপ্ত মতে।
লেকটির জল ক্ষারীয় অতি
ঐ রসায়নের ফলে,
মমি বানাবার ও মূল কাঁচামাল ও
সেটাই ছিলো বলে।
লেকটির জলে ডুব দিয়ে প্রাণী
রইলে কিছুক্ষণ,
শরীরের জল শুকিয়ে হয়,
মমিতে পরিবর্তন।
ন্যাট্রনের আর একটি গুণ,
সে সংরক্ষক ও হয়,
ফলতঃ সেই মমি গুলো সব
তেমনই রয়ে যায়।
বহু পশু পাখির মমি গুলো সব
দেখা যায় ঐ লেকে,
এমনই একটি লেকে সেই পাখি
"ফ্লেমিংগো"রা থাকে।
ফ্লেমিংগো'র পায়ের চামড়া
এমন ভাবেই গড়া,
পানিরোধক, আঁশযুক্ত পায়ে
করে অনায়াসে ঘোরাফেরা।
ফ্লেমিংগোরা নিজের নাকে
যে গ্রন্থি খানি ধরে,
আলাদা করে ন্যাট্রন, তা দিয়ে
লেকের জল ওরা পান করে।
ফ্লেমিংগো র পাকস্থলী ও
অনেক শক্তিশালী বলে,
ন্যাট্রন লেকের আ্যলজিগুলোও
হজম করে ফেলে।
লেকটি এতো ভয়াবহ তাই
যায় না কেউ সেথায়,
এই কারণই ফ্লেমিংগোদের
আশীর্বাদ হয়ে যায়।
ফ্লেমিংগোরা অবাধে সেথায়
বংশবিস্তার করে,
অন্য প্রাণীর মৃত্যুকুপে(যেথায়)
ফ্লেমিংগোরা স্বর্গ ধরে!!
*আগ্নেয়গিরি টি সোডিয়াম কার্বনেট
ও পটাশিয়াম কার্বনেট সমৃদ্ধ লাভা
উদ্গীরণ করে যা ন্যাট্রকার্বনাটাইট
বা সংক্ষেপে ন্যাট্রন নামে পরিচিত।
লেকটির জলের (পি এইচ)১০.৫,যা
অত্যন্ত ক্ষারীয়।
এই সুন্দর ঘটনা টি বোঝায়, একটি
প্রাণীর সামর্থ্য, তার পরিবেশের সাথে
গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।
**(সম্পূর্ণ ঘটনা টি কে একটি ছন্দে বদ্ধ
করে পরিবেশন করার একটি প্রচেষ্টা
ছিলো মাত্র)**