কাল যখন তুই মগন ঘুমের নিঝুমে,
গাইছিল হিমেল হাওয়া রুপকথার সুরে।
যে ফুল গেছে ঝরে অকালে ,বাস্তব নিয়মে;
সৌরভ তার আসছিল ভেসে বিমনা বিভা ভরে।
যে সুর মিছে হয়েছে ,স্বাদের প্রয়োজনে;
মিঠে মদের মায়া তার গুঞ্জরি উঠছিল মর্মে।
আকাশের নীলে , মাটির ধূসরে-
জোছনার হলুদে, লক্ষ্যতারার তিমিরে-
জৈষ্ঠ্যের নিদাঘে, আষাড়ের মেঘে-
দিনের ভিড়ে , রাতের নিরালে -
কাল অনেক খুঁজেছি তোকে।
মন রেঙেছিল অন্বেষনের রক্তরাগে।
জানি ,তোর চোখ কখনো দেখবেনা আমাকে;
তবু একবার দেখার লোভ জেগেছিল তৃষিত নয়নে।
জানি,কোনোদিন কথা হবেনা তোর সাথে;
তবু সুধাস্বরের পিপাসা জেগেছিল কাতর কানে।


আছিস তুই দূরদুরাশার ওপারে,
মগ্ন হয়ে আপন খেয়ালে।
তবু ঐযে সেই কলিটা তোর রিংটোনে বাজে,
কেন মেঘ আসে হৃদয়আকাশে !
কেন কে তা জানে!
অবুঝ মন কি ছাই কোন মানা মানে!
আবেগ ছাড়া শুধু বাস্তব নিয়ে কে কোথায় বাঁচে!
জিভে লোভ ,পেটে ক্ষুধা ,মাথা হিসেব কষে;
তবু মানুষ হৃদয়ে ভালোবাসা নিয়ে বঁচে।
জাগতিক প্রয়োজনে রক্তমাংসের দেহ মাটিকামড়ে থাকে ।
মানুষের দিন কাটে আকাশের সাতরঙ নিয়ে।


সাধের খেদ যখন জাগে ,
চিত্তে  আক্ষেপ বিমথে।
সামর্থ্য থাকত যদি আমার পকেটে!
দিতাম সব বাধা ভাসিয়ে হৃদয়ের জলে।
তোর ঐ খাঁচাটা দিতাম ভেঙে করাঘাতে করাঘাতে।
বধির আঁধারে, কান্তারের ব্ন্ধ দ্বারে
আসহায়তা কাঁদে মৌন নিবেদনে।
সামনে পেছনে ভেতরে বাইরে শুধু স্তব্ধতা বাজে ।