আর মাত্র পঁচিশটা সংখ্যা পর ,
সময়ের পরশে রূপো থেকে সোনায় পরিনত হবো ।
একথাও ভুলিনি আমি –
সময়ের ভারে, তখন আরো একটু কুব্জ হয়ে যাবো ।


কি ক্ষতি ছিলো শূণ্য হয়ে থাকতে ?
না হয়, নাইবা থাকতো আমার অস্তিত্ব ।
সৃষ্টি কি স্তব্ধ হয়ে যেতো ??
বন্ধ হয়ে যেতো পৃথিবীর আবর্ত ???


সময় মানুষকে পরিণত করে ।
একথা যেমন সর্বৈব সত্যি –
তেমনই একথাও মানতে বাধা নেই –
নিষ্পাপ শুধু সেই আছে, যে শিশুটা একরত্তি ।


সংখ্যা বাড়াতে চাইনা আর -
যতোটা কম করা যায় পাপের বোঝা ।
বিধাতা পুরুষ! শুনতে পাচ্ছো তুমি ?
এখন আমার তোমাকেই শুধু খোঁজা ।


মনে করি সেই সংখ্যাটাকে !
যার পরে আবার শূণ্য হয়ে যাবো ।
লাভ-ক্ষতির খাতাটা হয়ে পড়বে অর্থহীন ।
গণিতের সংজ্ঞাটাকে উল্টে-পাল্টে দেবো ।।


******************************


এই ছিলো আমার ২৫তম জন্মদিনের ভাবনা ।


******************************


আমার ভাবনার লেখনীতে ব্যবহৃত “বিধাতা-পুরুষ” শব্দটা আলাদা ভাবে কোনো পুরুষ বা নারী জাতিকে উদ্দেশ্য করে নয়, শুধুমাত্রই কবিতার ছন্দকে বজায় রাখার স্বার্থে।