এই শৈশব বড়োরা ফিরে পেতে চায় তাদের হারানো
আঙিনায়।ধূলিধূসরিত মলিন মেঠো পথ,প্রান্তরজুড়ে
শৈশব উন্মাদ-প্রায় অফুরান প্রাণের ভুবনে।ঐ তারুণ্য
বুঝুক না বুঝুক গানের মানে।তবুও গান রবে পৃথিবীর
প্রতি খেলা ঘরে।আমি,আমার ভাইপৃথিবী চিনেছি শুধু
শৈশব-ভরা শিশুমনের অবাধ্য ঈশারায়।দিনরাত ছুটে
বেড়াই দিগন্তজুড়ে, মাঠ ঘাট বন সব হই পার।আমরা
মুহূর্তে সাড়া দিই প্রাণের প্রতিটি বাঁধন-ছেঁড়া ইশারার।
যার মনে শান্তি নাই,শান্তি তার নাই, আমাদেরই রচিত
খেলাঘরে আমাদের মনগড়া পৃথিবী আমাদের মনগড়া
রবে যুগযুগ ধরে।যে শান্তি এখন রয়েছে ঘিরে,নেমেছে
যে আঁধার,সে আঁধারে বহু তারুন্য বহুবার বহু অগণিত
পথে হারিয়েছে নিজেকে,আবার পেয়েছে ফিরে হারানো
বাঁশির হারানো সব সুর।এই অস্থির সময়ের অশান্ত চিত্রে
তারারা হাসে না তারাদের সম্মিলিত আলোর গভীর রাত্রে
একসাথে এক হাসিতে।জীবনের সব ধ্রুবতারা সৌন্দর্যের
পিছে পিছে ছোটে না একসাথে,এরই মাঝে যে হাসিধারা,
তারই আড়ালে আছে এক অবহেলিত পৃথিবী কান্না-ভরা।
হয়তো সে পৃথিবী আমাদের বহু যুগ বহু দিন পরে,সেদিন
আমরাও চাইবো পেতে ফিরে ফের এইসব সব রঙে-রঙিন
পৃথিবী হয়তো।একরাশ হাহাকার আর বুকের গোঙানিতে
একটা অন্য পৃথিবী কাঁদবে হৃদয়ে পড়ন্ত আলোর গোধূলিতে।