মনুষ্যগণের ভালোবাসা জ্ঞান আছে বটে
কিন্তু কেবল মনুষ্যমাত্রই যে এক প্রকার জ্ঞানের অধিকারী তাহা নহে
বিষয়গোচর জ্ঞান যে প্রকার পশুপক্ষীর আছে তদ্রুপ মনুষ্যেরও আছে
সুতরাং ভালোবেসে এ প্রকার জ্ঞান মনুষ্য ও ইতর প্রাণীরা সমান পাবে
ভগবতী মহামায়াই ভালোবেসে জ্ঞানীদিগের চিত্তসকল
বলপূর্বক আকর্ষণ করিয়া মোহে নিক্ষেপ করে ভাবিয়া চিন্তিয়া
আবার তিনিই জ্ঞান ভঙ্গিতে প্রসন্না হইয়া
ভালোবেসে মনুষ্যদিগের মুক্তিপ্রদ বর দেন আগ্রহ করিয়া
তিনিই মুক্তির উৎকৃষ্ট হেতুস্বরূপা সনাতনী ব্রহ্মজ্ঞানস্বরূপা বিদ্যা
তিনি ঈশ্বরগণেরও ঈশ্বরী, ভালোবেসে সংসারবন্ধন, জন্ম, মৃত্যু প্রভৃতির হেতু
জ্ঞানকে ভালোবাসা পুন্যবান ব্যক্তিদিগের গৃহে সন্পতস্বরূপা
আবার পাপীদিগের গৃহে অলক্ষীরূপা
জ্ঞানকে ভালোবেসে অশেষ শাস্ত্রপাঠে নির্মলান্তঃকরণদিগের হৃদয়ে বুদ্ধিস্বরূপা
তেমনি সচ্চরিত্রদিগের শ্রদ্ধাস্বরূপা
জ্ঞানকে ভালোবাসা শুদ্ধবংশোদ্ভবদিগের লজ্জাস্বরূপা
আবার সকল পদার্থেরই আশ্রয়স্বরূপা।



সংগ্রহ : আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা