শোকের সময় মনকে শান্ত করতে
গানকে ভালোবাসা ছাড়া আর অন্য উপায় জানা কি আছে?
ভালোবাসার গানে কখনও চোখে আনন্দের অশ্রু কখনো বিষাদের সুর
কখনো চিত্তকে প্রফুল্ল করে বিন্দুতে সিন্ধু গড়ে আবার
ভালোবাসার গান কারো কাছে শিশুসুলভ মন
আবার কারো কাছে হয় অমৃতের ধন
ভালোবাসার গান ওপারের দিগন্তরেখাকে ছুঁয়ে
মন যে ছুটে চলে কোনো বাঁধন না মানে
ভালোবাসার গান ছাড়া জীবন যে হতচ্ছাড়া
বৃথা তার জনম ধরায় ধরা
ভালোবাসার গান কর্ণ দিয়ে হৃদয়ে যদি প্রবেশ করে  
উদাস মনে উদাসী নয়নে তোমার সময় যাবে বয়ে
ভালোবাসার গানে কোন সাগরে ডুবলে কোন  মুক্তা পাবে
তা তোমাকেই স্থির করতে হবে
ভালোবাসার গানে কথা মালায় কোন সুর লুকিয়ে আছে
সেই সুরে ভেসে যাবে অজানা কোণ গন্তব্যে
ভালোবাসার গানে ভাবের ভাব সাগরে যদি পার ডুবে যেতে
জীবন তরীর নৌকা সকল যেন সেই ঘাটে বাঁধা থাকে
ভালোবাসার গানে তুমি করো সাগর মন্থন
মণি মুক্তা তুলে এনে জড়ো করো সেই ধন
প্রেমের জটিল মুহুর্ত আসে যদি তোমার জীবনে
মনকে সঠিক দিকে তাড়না করো গানকে ভালোবেসে  
ভালোবাসার গানে ভাবনার অতল গভীরে
সকলে  যেতে নাহি চাহে
ভালোবাসার গানে অনুভূতি যত পাবে
নয়নের জলে অঞ্জলি দিও দু হাত ভরে
ভালোবাসার গানে যে  হারিয়ে যেতে জানে
মনের ঐশ্বর্য্যের দেখা পায় সে অবহেলে
ভালোবাসার গান তুমি যে আমার প্রাণ
তোমায় দেখতে পাই না কিন্তু সুর শুনেছি মন করে আনচান
মনের অতুল  ঐশ্বর্য্য ইচ্ছা যদি থাকে
ভালোবাসার গান তোমায় নিয়ে যাবে সেই জগতে
ভালোবাসার গানে পাবে মানুষ থেকে প্রকৃতি
তবুও কি ইচ্ছে করে না একবার ভালোবেসে দেখি
ভালোবাসার গানে এতো মধু ঝরে
যেন সিঁদুর চন্দন টিপ শোভিছে কপালে
ভালোবাসার গান কখনও মনে করিয়ে দেয়
অপরূপ কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় আপনার অবস্থান
মানব হৃদয় দুঃখে পতিত হলে
একমাত্র ভালোবাসার গানই আশ্রয় হতে পারে
নীল শাড়ি পরিধান অতি মনোহর
ভালোবাসার গানে তা যেন আরো সুন্দর
কর্ণফুল শোভে কর্ণ মরি কি সুন্দর
ভালোবাসার গানে মোর টানিছে অন্তর
ভালোবাসার গানে চরণে বাজিছে কিবা মোহন নূপুর
তার দেখা পেয়ে হৃদয়ে জেগে ওঠে সুমধুর সুর
গানের কথা ও সুর যে ভালোবাসে
অনন্তকালব্যাপী তা মনের খোরাক হয়ে রবে
পথ চলতে মন যদি ব্যাকুল হয়ে ওঠে
ভালোবাসার গান কিন্তু সে মন শান্ত করতে জানে।
ভালোবাসার গান কারো কাছে যৌবনের দীপ্ত তপোবন
আবার কারো কাছে যেন বার্ধক্যের বারাণসী ধাম
ভালোবাসার গান খাঁ খাঁ করা মাঠের
নিভৃতে পরে থাকা যেন ছায়া ঢাকা স্থান
ভালোবাসার গান কখনো রজনীগন্ধার সুগন্ধে সন্ধ্যা নামায়
আবার কখনো গোলাপের প্রস্ফুটিত পাঁপড়ির কথা মনে করিয়ে দেয়
ভালোবাসার গান শুনে যদি মন ব্যাকুল হয়ে উঠে
তবেই তুমি পৌঁছে যাবে কাঙ্খিত কল্পনার জগতে
ভালোবাসার গানে ভব সাগরে ডুবে গেলে
ভাবনার অতল গভীরে মণি মুক্তা মিলে
মন্দ মন্দ নবঘন বরষিছে  বারি
ভালোবাসার গানে আমি যে সেই শব্দ শুনিতে পারি
ষড়ঋতু ফল ফুল ফোটে সারি সারি
ভালোবাসার গানে আমি পাই সেই ঋতুর হাতছানি
বিষাদে তোমার মন হয় যদি জর্জরিত
ভালোবাসার গানে মনকে করো তুমি স্নিগ্ধ
গানকে ভালোবেসে প্রেমে কেউ পায় নুপুরের ছন্দ
আবার বেদনায় কারো চোখের জলে আনে বিরহ
ভালোবাসার গান কারো কাছে যেন খেলাঘর
আবার কারো কাছে তা বেদনা ভরা ঘর
ভালবাসার গান শুনে কেউ পৌঁছে যান ঝাউবনে
আবার কেউ বা শিমুল ফুলের ডালে ডালে
ধরা ছোঁয়া যাবে না, অনুভব ছাড়া পাবে না
ভালোবাসার গান ছাড়া অন্য কথা মাথায় আসে না
জীবন থেকে মৃত্যু যদি কিছু তুলে নিতে চাও
তবে ভালোবাসার গানে হৃদয় ভরিয়ে দাও।
ভালোবাসার গানে ছোঁয়া নেই পাবে না এমন ক্ষেত্র
ভালোবেসে খুঁজে দেখো গভীরের সেই তত্ত্ব
বহুপথ পেরিয়ে যে পথের সন্ধান তুমি পেয়েছো
ভালোবাসার অভাবে সেই গান হারিয়ে যেতে না দিও
ঘন ঘন পাখিরা ডাকে সুমধুর স্বরে
গানকে ভালোবেসে সেই সুর আমার কানে বাজে
ভালোবাসার গান কারো কাছে আশ্রমের তীর্থস্থান
আবার কারো কাছে দুঃখের অবসান
ভালবাসার গান কখনো পালতোলা নৌকো
আবার কখনও যেন শ্রাবনের বারিধারা
ভালোবাসার গান কখনও আষাঢ়ের  বারি বর্ষণ
আবার কখনও ছন্দে চলা ঝর্ণার জলের ছন্দপতন
ভালোবাসার গানে পরশমণি স্পর্শ যদি লাগে
থাকে যদি দীর্ঘশ্বাস পাবে তুমি স্বস্তির নিঃশ্বাস
গানকে ভালোবাসতে শিখবে যখন
চারিভিতে অন্ধকার রবে না তখন
ভালোবাসার গান অন্তরে যখন করে বিরাজ
কমোলিনী চারিদিকে তখন হইবে প্রকাশ
ছুটিল মন মরি কি বাঁচি ক্ষতি নেই তাতে
যে গানে সুগন্ধের বাস আছে,, ভালোবেসে আমায় নিয়ে চলো সেখানে
যে গানে আমার ভালোবাসার চিন্তামণি থাকে
দিনরাত চিন্তি আমি তার ভাবনা ভেবে
যেমন করে মৃদু মন্দ বারি বিন্দু হইছে পতন
ভালোবেসে গানে গানে বুঝিয়ে দিচ্ছ তুমি যে আমার মনের মতন
বিপুল তরঙ্গ উঠে জল করে কল কল
ভালোবাসার গানে তোমার আঁখি হয় ছল ছল
বহিতে লাগিল স্রোত অতি  খরতর
তার চেয়েও বেশি বেগ ধরো তুমি তাই তো গান ভালোবাসো
কোকিল নিকর কুহু কুহু রব করে
তোমার গানের সুরে ভালোবেসে আমার সেই কথাই মনে পড়ে
বর্ষায় টিনের চালায় বৃষ্টির ঝন ঝন শব্দ
ভালোবেসে গানে গানে শুনি সেই ছন্দ
ভালোবাসার  গানে তুমি পাবে জনম থেকে মৃত্যু
জীবন থেকে নেওয়া  কিছু কথা হাত বুলিয়ে যাচ্ছে শুধু
ভালোবাসার গান মনের মলিনতা দূর করে
অন্তরের বিষাদময়তাকে যেন টেনে বার করে
মনের বিষাদ যত আছে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে
ভালোবাসার গানে এগিয়ে চলো নব পথপ্রান্তে
ভালোবাসার গানে লাখো কোটি কথা পাবে
লাখো অনুভূতিতে পৌঁছে যাবে তোমার অভীষ্ট লক্ষ্যে
প্রেম থেকে বিরহ পাবে তুমি অহরহ
ভালোবাসার গানে মন যদি হয় অনুগত
অন্য অন্য পাখি ডাকে নিজ নিজ স্বরে
তোমার গানে ভালোবেসে পাই আমি তাঁদের খুঁজে
কেকা কেকা ধ্বনি করে ময়ূর ময়ূরী
ভালোবেসে তোমার গানে প্রেমানন্দে শান্তভাবে সেই কথা ভাবি
ডাহুক ডাহুকি ভাসে জলের উপরি
গানকে ভালোবেসে তোমার সুরে আমি ভেসে থাকি
খঞ্জন খঞ্জনী হয় আনন্দে মগন
তোমার গানকে ভালোবেসে হৃদয় হয়ে ওঠে মত্ত
ভালোবাসার গান অশান্ত মনকে শান্ত করতে জানে
আবার মনকে শান্ত করে ঘুম পারাতেও জানে
ভালোবাসার গান অনন্ত চেতনা মনের মাধুর্য এ গড়া
প্রেম ভক্তি ভালোবাসা দিয়ে তার ভুবন ভরা
ভালোবাসার গানে সেই স্বপ্নের খোঁজ পাবে তুমি
মনের মাঝে থেকে যে স্বপ্ন মারে উঁকি
যৌবন থেকে বার্ধক্য পাবে তুমি সকল বৃত্তান্ত
ভালোবেসে ভালোবাসার গান যদি তুমি ধরো
মনের মনিকোঠায় লুকিয়ে আছে যত মাণিক্য
ভালোবাসার গানে ছুঁয়ে যাবে সে সকল রত্ন
অলিগন ভ্রমে সবে মধু পান করি
ভালোবেসে ফুলে ফুলে গানে গানে থাকি
মৃদুমন্দ সুশীতল বহে সমীরণ
ভালোবেসে গানের সুর ছুঁয়ে যায় মন
যোগিগণ যোগে রত মুদিয়া নয়ন
ভালোবেসে কোণ গানে বন্ধ থাকে দু নয়ন


নীল চাঁদের উদয়ে মনে  যেমন শিহরণ জাগে
তেমনি ভালোবাসার গান হৃদয়ে পুলকতা আনে
আসিয়া  দেখহ নীল চাঁদের বদন
গানের সুরে ভালোবাসার প্রকাশ এমন
দেখ দেখ কোলে মোর কিবা নীলমণি
ভালোবেসে গানের সুরে ঘুম পাড়িয়ে  দাও তুমি
সুখ সাগরে সাঁতার  দিয়েছি তোমার কথা ভেবে
ভালোবেসে গানে গানে উঠিত পাঠ নিবো বলে
মনের যত্নে আনন্দ সাগরে ভাসি আমি
ভালোবেসে গানের সুরে যেন ভেসে থাকতে পারি
নিজেকে বঞ্চনা করে দুনয়নে বারি আন
বিরহের গানকে ভালোবেসে অশ্রু তুমি ধরে রাখ
বাক্য শুনেছি বাক্যহীনা সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে
গানে গানে সুরে সুরে সে যেন আমায় ভালোবাসে
দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে তোমার অবিচল লক্ষ্যে
ভালোবেসে গানকে সঙ্গী করো অবসাদ যেন দূরে থাকে
সংগীতশিল্পী ভালোবেসে নিয়মিত রেওয়াজে বসেন
গাইবার সময় রাগ থেকে যেন ভ্রষ্ট না হন
মন ভোলানো গানে ভালোবেসে যে আমাকে ডাকে
দেখা কেন হয় না তার সাথে
গানে গান মেলানো প্রাণে মন ভোলানো
ভালোবেসে তাই তুমি করে চলো অবিরত
নদী যখন বইতে থাকে আপন বেগে
তেমনি গানের সাথে ভালোবেসে মন যে ছুটে চলে
ভালোবাসার গানে যেন মোর পিপাসিত বুকটি ভরে
কুহুকুহু স্বরে নীরবে গেয়ে চলো সেই প্রেম ভরা বুকে
তোমার ভালোবাসার গানে আমি সেই শব্দ শুনি  
যে চরণে রতন নূপুরের হয় ধ্বনি
জোনাকি জ্বলিয়া আলো করে বিতরণ
ভালোবাসার গানে সৌরভ ছড়ায় তেমন
মেঘ দেখি নৃত্য করে ময়ূর ময়ূরী
ভালোবাসার গান সুন্দর মন আনন্দে যায় ভরি
সদা বরিষণ হয় খরতর বারি
ভালোবাসার গানে যেন সেই আহ্বান শুনি
নবনীরে করে খেলা যত ভেকগণ
ভালোবেসে সুরে সুরে গান গায় তেমন
ডাহুকের সঙ্গেতে  ডাহুকী করে ধ্বনি
ধ্বনির শব্দ নয় যেন ভালোবাসার গান শুনি
সরোবরে ফুটিল কমল কুমোদিনী
ভালোবাসার গান সুর ছড়ায় তেমনি
ক্ষেত্র পরিপূর্ন জলে জন্মে কত ধান্য
তখন ভালোবাসার গান শুনি হৃদয় হয় ধন্য
নব নব তৃণে হল মাঠ পরিপূর্ণ
সেই  শয্যায় ভালোবাসার গান জীবন ভরিয়ে দিলো
ইন্দ্রধনু উঠিতেছে সঘনে গগনে
ভালোবাসার গান যেন সাত রঙে ছেয়ে আছে
চমকে চপলা মেঘ স্থির নাহি রয়
তেমনি গানকে ভালোবেসে মন যে হারায়
শরৎ সুন্দরীরূপে শোভিল ভুবন
ভালোবেসে সপ্তসুরে গান বাঁধা তেমন
বাঁশি শুনি যমুনা উজানবেগে বহে
ভালোবাসার গান শুনি মন স্থির নাহি রহে
শ্রবনে শুনিয়া বাঁশি হারাইলো জ্ঞান
এ কী গানের প্রতি ভালোবাসা না কী এও এক মন বিজ্ঞান
থরথর কাঁপে অঙ্গ শুনিয়া বাঁশরী
গান আর সুর ভালোবেসে আমি যে বেঁচে আছি
শুন সখি সেই বাঁশি জাতিকুলনাশা
গানের প্রতি ভালোবাসা আমার কেড়ে নিয়েছে সকল কথা
বাঁশি শুনে জাতিকুল হারালে কী হবে
জাত হারিয়ে ভালোবেসে গানে কী লাভ পাবে
আমি কিন্তু বাঁশি শুনিবারে করি মানা
গানকে ভালোবেসে সুর নয় মন নিয়ে করে খেলা
বাঁশি শুনে কুল মজালে হবে বলো কী
গানের সুরে ভালোবেসে ঘরে রইতে না পারি
বাঁশির শুরে জাত মান কুল হারিয়ে
গানকে ভালোবেসে জীবন প্রদীপ যেন জ্বলে উঠে
যে বাঁশি শুনিতে যায় বনের হরিণী
সেই সুর সেই গান আমি যে ভালোবাসি


যে বাঁশি শুনিয়া পশু পক্ষী আদি  ভুলে
ভালোবেসে সেই সুরের গানে আমার মন যে যায় হারিয়ে
যে বাঁশি শুনিয়া সখী সারা দিয়েছিলো
সেই সুরের গানে যে ভালোবাসার কথা ছিল
প্রতিদিন শ্রবণেতে শুনিব সে বাঁশি
এই আশায় গানকে আমি এতো ভালোবাসি
ভালোবেসে কুলশীল তেয়াগিব হব তার দাসী
বাঁশি সুর আর গান প্রাণ নিয়েছে যে কাড়ি
ভালোবেসে ধন মন প্রাণ তার চরণেতে দিবো
বাঁশি বাজিয়ে কথার ছন্দে গানের সুরে বেঁধে নিয়ে চলো
ভালোবেসে জনমের মতো তোমার পদে  বিকাইবো
যদি বাঁশির সুরে গান গেয়ে মোড়ে ভুলিয়ে রাখো  
ভালোবেসে যায় যাক জাতি কুল ভয় নাহি করি
বাঁশির সুরে গানকে যেন ধরে রাখতে পারি
ভালোবাসলে যদি কেহ মন্দ কয় না শুনিব তাহা
সুরে সুরে গানে গানে ভেসে বেড়াবো যথাতথা
ভালোবেসে কুল হারিয়ে হয়ে রব দাসী
বাঁশির সুরেলা ছন্দে গান যেন হয় আমার অমরসঙ্গী
শরতের কালে ভালোবেসে সরোবর হয় বিকশিত
তোমার বাঁশির সুরে মনোহর পদ্মের সুষমা যেন প্রকাশিত
ভ্রমর ভ্রমরী ভালোবেসে গান করে
আর তোমার বাঁশির সুরে আমার মন যে পাগল করে
ফুলের গন্ধে অলিকুল উড়িয়া বেড়ায়
আর বাঁশির সুরে পাগল মন ভালোবাসা খুঁজে পেতে চায়
সপ্তস্বর মূর্ছনায় ভালোবেসে গান যদি কেউ করে
তবে যমুনা উজান বহে তরঙ্গের সনে
বাঁশি শুনি উজান বহিল যমুনায়
ভালোবেসে সেই সুর আমাকে টেনে নিয়ে যায় দরিয়ায়
কোকিল কোকিলা সুরব করে যদি সুখে
প্রফুল্ল হইবে মন ভালোবাসার গানে
ভালোবাসার গানে ময়ূর ময়ূরী নৃত্য করিতো সুধ্বনি
‘রাধা ‘ বলি বাঁশি বাজাইতো যে গুণমনি
শুষ্ক বৃক্ষে পুষ্প হতো কৃষ্ণচন্দ্র এলে
বাঁশির সুরে গান গেয়ে ভালোবেসে দুঃখ দিতো ভুলায়ে
ভালোবাসার গানে সুর আছে ছন্দ আছে
ভক্তি যদি না থাকে সেই গান হৃদয় ছুঁতে না জানে
ভালোবাসার গানে কোথায় যেন সুর নেই ছন্দ নেই
তবুও জীবন চলার পথ থেমে নেই
ভালোবাসার গানে বিহঙ্গকুল হইয়া ব্যাকুল
সুমধুর গানে চিত্ত তার হয় সমাকুল
ভালোবেসে গানে গানে গুণ গুণ করি ভৃঙ্গ মধু করে পান
ডাহুক ডাহুকী নাচে সারসের গান
ভালোবেসে গানে গানে মধুপান করে ভৃঙ্গ হয় মদ মত্ত
নানা পুষ্প তপোবলে হয় বিকশিত
ভালোবেসে গানে গানে কোকিল করিছে রব কুহু কুহু স্বরে
নটবেশে মত্ত ময়ূরেতে নৃত্য করে।


ভালোবাসার গানে চারিদিকে মদমত্ত বিহঙ্গমগণ
আরম্ভ করিল গান সুমধুর কূ-জন হয়ে পাগল মন
ভালোবাসার গানে চঞ্চল পবন প্রবেশ করে তপোবনে
কুসুমের গন্ধকণা গ্রহণ যে করে
ভালোবাসার গানে হিমকণা লয়ে পুষ্প এ  করি আলিঙ্গন
নিদ্রিত নির্বাণ তাহে জাগিলো মদন
ভালোবাসার গানে প্রথমে বসন্ত দেখা দিলো সেনাপতি
পরেতে উদিত শশধর তারাপতি
ভালোবাসার গানে মত্ত অলিকুলের ঝঙ্কারে
যেন দিগন্তর মূর্ছিত হইয়া থাকে
কোকিল কলালাপ মধুর বসন্ত যদি জাগ্রত হয় মনে
ভালোবেসে গানে গানে ভরিয়ে তোলে মনকে
ভালোবাসার গানে বসন্ত বাতাসে বৃক্ষলতা পুষ্পগণ
পরস্পরে পরস্পরে করে আলিঙ্গন
যে বনে বিহঙ্গেরা সর্বদাই ভালোবেসে গান করে
তাহার সর্বস্থান কুসুমসমূহে সমলঙ্কৃত থাকে
সারিকাগন ভালোবেসে গানের সুরে সারকথা পাঠ করে
শুক যেন সেই পাঠে সারিকাকে খোঁজে
কলকণ্ঠকুল কুঞ্জে বসিয়া ভালোবেসে কলকণ্ঠে কূ – জন করে
কোন কলকণ্ঠ ধ্যানস্থ হইয়া অপরের কণ্ঠস্বর শ্রবণ করে
ময়ূরের কেকাধ্বনি, চাতকের কলনাদ
ভালোবেসে গানে গানে বলে যায় তুমিই আমার নাথ
ভ্রমরের গুঞ্জন এবং কোকিলের কূ-জন
দুঃখিত ব্যক্তির মনেও তোলে সেই গানে ভালোবাসার শিহরণ।