ভালোবেসে যে জন আলোর ঠিকানা খোঁজে না
সে যে জ্ঞানকে ভালোবাসতে জানে না
আলোর  ঠিকানা সহজে যে পাবে না
জ্ঞানকে ভালো না বাসলে সে কথা বুঝবে না
আলোর ঠিকানা আছে কী তোমার জানা?
ভালোবাসা পেতে প্রয়োজন জ্ঞানের সেই ঠিকানা
আলোর ঠিকানা পেলে চেষ্টা করে দেখতে পারি
ভালোবাসা পাই কী না পাই তা পরে ভেবে দেখবো আমি
আলোর ঠিকানায় মজেছে যে মন
ভালোবেসে জ্ঞানের আলো না পেলে বৃথাই তার সাধন ভজন
আলোর ঠিকানায় যে আলো থাকে
ভালোবেসে তাকে কী জ্ঞানের আলো বলে?
আলোর ঠিকানায় অক্ষর বর্ণ পাবে এমনভাবে
জ্ঞানকে ভালোবেসে মিল করে সাজাতে হবে
ভালোবেসে জ্ঞানী গুণী যারা পেয়েছেন আলোর ঠিকানা
কষ্ট করে পৌঁছে গেছেন সেই স্থানে যা অজানা
আলোর ঠিকানার লোভ কার না হয়
তার জন্য ভালোবেসে জ্ঞানে কর্ম করতে হয়
আলোর ঠিকানার লোভ অনেকেই করে
জ্ঞানকে ভালো না বাসলে ফিরে আসতে হয় বারে বারে
আলোর ঠিকানায় কোন জাদু বল আছে
হাজার বছর ধরে ভালবেসে মানুষ ছুটে চলে
আলোর ঠিকানা পাব কী পাবো না
জ্ঞানকে ভালো না বাসলে সে পথ যে অচেনা
আলোর ঠিকানায় বসে আছে যে
তার ভালোবাসা জ্ঞানের সাথে
জ্ঞানকে ভালোবেসে সকল জীব ছুটে চলে আলোর ঠিকানায়
কেউ পায় কেউ বা পথ হারায়
ভালোবেসে মানুষ যেমন অন্যকে কাছে টানে
আলোর  টানে জীব তেমনি ছুটে চলে
আলোর ঠিকানার উৎস যদি হয় বর্নমালা
তবে কেন জ্ঞানকে ভালোবাসতে দেরি করা
জ্ঞানকে ভালোবেসে অনেকে হয়েছেন জ্ঞানী
পৌঁছে গেছেন তারা আলোর ঠিকানায় জানি
আলোর ঠিকানা অন্ধকারের শেষ সীমানা
তবে কেন ভালোবেসে অক্ষর জ্ঞান সঙ্গে নিয়ে  পথ চলো না
আলোর ঠিকানায় যত আলো আছে
জ্ঞানকে ভালোবেসে যত খুশি তুলে নাও শেষ নাহি হবে
অক্ষর বর্ণ শব্দ দিয়ে যে বাক্য তৈরি হয়
জ্ঞানকে ভালোবেসে মানুষ আলোর ঠিকানা খুঁজে নেয়
আলোর ঠিকানা অন্ধকারে ঢাকা থাকে
অজ্ঞানতা ফেলে দিয়ে ভালোবেসে জ্ঞানকে তুলে নাও হাতে
জ্ঞানকে ভালোবেসে আলোর ঠিকানা যারা পেয়ে গেছে
তাঁদের আর ভাবনা নেই এ জীবনে
অক্ষর বর্ণ শব্দে যে আলো আছে
ভালোবেসে আলোর ঠিকানায় যেতে ওগুলো লাগে
জ্ঞানী গুণী বলেন আলোর ঠিকানায় যাব আমি
ভালোবেসে পথ দেখাও পথিক তুমি
আলোর ঠিকানায় কত ঝলমলে আলো আছে
জ্ঞানকে ভালোবাসলে বুঝবে তুমি একে একে
ভালোবেসে জ্ঞানের আলো জ্বলে যার অন্তরে
আলোর ঠিকানাই তার একমাত্র গন্তব্য বলে মানে
জ্ঞানকে ভালোবাসতে পারি না তাই আলোর ঠিকানা খুঁজে পাই না
অজ্ঞান অন্ধকার ছাড়া গতি তো দেখি  না
জ্ঞানকে ভালোবাসলে আলোর ঠিকানায় পৌঁছে দিবে তুমি বলেছিলে
আমি যে আলো দেখতে পাই না সকলি অন্ধকার লাগে
আলোর  ঠিকানা যার জানা আছে
ভালোবেসে জ্ঞানকে সে ধরে রেখেছে
আলোর  ঠিকানা তুমি শুদ্ধ, তুমি নামহীন
জ্ঞানকে ভালোবেসে অধুনা কল্পনার মাত্র সহায়েই তুমি নামের অধীন
যারা দুঃখকে দুঃখপশমের হেতু, ভোগসমূহকে  সুখের কারণ বলে
জ্ঞানকে ভালো না বেসে সে সকল ব্যক্তি বিমূঢ় চিত্ত, আলোর ঠিকানা পায় না খুঁজে
জ্ঞানকে ভালোবাসার অভাবে আলোর ঠিকানা না পেয়ে তত্ত্বৎ দুঃখকেই সুখ বলে জানে
সেই সকল ব্যক্তি অবিদ্যান্ধ ও  সেই হেতু মোহাচ্ছন্ন চিত্ত
ভূমিতে যান, যানে দেহ
সেই  দেহে ভালোবেসে আলোর ঠিকানার অন্য পুরুষ নিবিষ্ট
স্ব স্ব দেহে ভালোবেসে যেরূপ “ আমার “ এই জ্ঞান আছে
আলোর ঠিকানার সেই পূরুষ তাদৃশ নহে
যার উপদেশে সন্তান আত্মজ্ঞান লাভ করে
ভালোবেসে আলোর  ঠিকানা খুঁজে পায় সে
আজন্ম আত্মজ্ঞান বিষয়ে উপদেশ প্রাপ্ত হলে
প্রজ্ঞানোদয় ও মমতা বিদুরিত হয়ে আলোর ঠিকানায় ভালোবাসা পাবে
জ্ঞানকে ভালোবেসে স্পৃহা শুন্য আত্মবোধ জাগ্রত হলে
তবেই মন জ্ঞান লাভ করে সুমার্জিত আলোর ঠিকানা পাবে
ভালোবেসে আত্মজ্ঞান যার হয়েছে অর্জন
আলোর ঠিকানায় নিষ্কাম ও ক্রিয়াবিহীন তার মন
আত্মা সর্বপ্রকার মূর্তিহীন
আলোর ঠিকানায় ভালোবাসা পাবে বাকি সকল অর্থহীন।
জ্ঞানকে ভালো না বেসে ভুতের দ্বারাই ভুতগণ মর্দিত হয়ে থাকে
আলোর ঠিকানায় যিনি মূর্তিহীন তাহার আবার মর্দন কিরূপে
প্রথম আলোর পথ যে দেখিয়েছিলো মোরে
জ্ঞানকে ভালো না বেসে তার কথা ভুলে গেছি প্রথম প্রহরে
বিদ্যা যোগ্য সংস্কারে জ্ঞানের আলো বাড়ে
তাই  জ্ঞানকে ভালোবেসে নাও আপন করে
ভালোবেসে যে ব্যক্তি জ্ঞানের আলোকে নিজেকে আলোকিত করে
সেই জ্ঞানের আলো সমাজকেও আলোকিত করতে জানে
জ্ঞানকে ভালোবেসে দেখো তুমি যিনি দূর দিগন্তের অনন্ত
তিনিই আবার হন যুগযুগান্তরের আলো।