জ্ঞানকে ভালোবেসে বিষয়াসক্তি বর্জনে
“আমার” এই জ্ঞান  বিদূরিত  হবে।
জ্ঞানকে ভালোবেসে সুখী হতে যদি চাও
তবে নির্মমত্বই তা এনে দিবে তুমি শুধু দু হাত ভরে নাও,
সংসারের যাবতীয় দোষ স্পষ্টরূপে হৃদয়ঙ্গম করার থাকে   যদি বাসনা
তবে জ্ঞানকে ভালোবেসে হৃদয়ে বৈরাগ্যের সঞ্চারে মিটবে সে কামনা ,
জ্ঞানকে ভালোবেসে যেরূপ বৈরাগ্যর উদয় হয়
তেমনি বৈরাগ্য থেকেও সেইরূপ জ্ঞানের আবির্ভাব কী নয়,
ভালোবেসে যে সহায় দ্বারা মোক্ষ তাহাই জ্ঞান
অন্যথা হলেই তাহা অজ্ঞান,
সিংহ, ব্যাঘ্র, হস্তী যে প্রকার সেবা দ্বারা মৃদুত্ব প্রাপ্ত হয়,
সেইরূপ জ্ঞানকে ভালোবেসে ধন, মন, প্রাণ বশে রয়,
চিত্তের মলিনত্ব তখনই বিদুরিত হবে
যখন জ্ঞানকে ভালোবেসে নিজ দেহে ঈশ্বর অনুভব জাগ্রত পাবে।



সংগ্রহ: আদর্শ লিপি, ধর্মগ্রন্থ, পত্র পত্রিকা