দুইটি হাতের মোচড় খেয়ে,
নিপাট বোনায় ধবধবে,
তৈরি হলাম তুলোর মতো,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।

রাখলে তুমি যতন করে,
তৈলভরা আধারটাতে,
ফুলে ফেঁপে কুৎকুতে,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।


জ্বলছে প্রদীপ, পুড়ছি আমি,
পেটভরা ওই রসদ নিয়ে,
উজ্বল শিখা নেচে নেচে,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।


যৌবন জুড়ে জ্বলে থাকা,
ইষ্ট মুখে হাসি আঁকা,
দহন তখন মাঝাকাশে,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।


কমছে আলো, নামছে যোগান,
উসকে দেওয়া মাঝেমাঝে,
পুজোর আরও বাকী আছে,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।


সাঙ্গ পুজোয় পরে থাকা,
সবাই ছেড়ে অন্যকোথা,
ধিকিধিকি জ্বলছি একা,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।


নামছে আঁধার ধীরেধীরে,
পাংশু শরীর রসদ ফুরিয়ে,
ভগ্ন শিখায় জ্বলে পুড়ে,
যেন প্রাণ প্রদীপের সলতে।


হঠাৎ যেন লাগল কাঁপন,
হুহু করা অন্ত জ্বলন,
তিমিরঘন চিতাভস্মে,
উবেছে যে প্রদীপের সলতে।