ভয়ঙ্কর আঁধার, জঙ্গলের রাত্রির অন্ধকারের থেকেও কালো।
কালিমা দূর করে চিতা জ্বলছে বীর পুত্রের।
কি করে মুখ দেখাই !
কি সম্পর্কে দাঁড়াই !
তোমার কাছে হিড়িম্বা! চির অবহেলিতা হিড়িম্বা!
এসেছি যখন তোমার জীবনে তুমি  হারিয়েছ প্রিয়জন।
একবার ভ্রাতা একবার পুত্র।
ভীম কে হিড়িম্বা ! পতি ! পতির অর্থ কি!
ঘটোত্কচের কে ! পিতা! পিতার অর্থ কি!
তুমি রাক্ষস জাতি! রাক্ষস তো আমি।
সমর্পিত প্রেম তো তুমি শেখালে নিস্ব: হয়ে।
জাত্যাভিমানে তোমাকে বঞ্চিত রেখে এসেছি কত দূর!
তুমি আদরের ধনটুকু দিলে আবার বিসর্জন।
দাও হিড়িম্বা দাও, অশ্রু নয়, আগুন দাও !
পুড়িয়ে দাও প্রেম, পুরুষত্ব, শৌর্য্য , বীর্য্য সব।
ছাই  ছড়িয়ে দাও পুত্র সাথে তোমার জঙ্গলে।
গাছ হয়ে রয়ে যাই তোমার ঘটোত্কচের সাথে!
সভ্যতা থেকে দূর জঙ্গলে, যুদ্ধের হুঙ্কার নেই, রক্তের নদী নেই।
থেকে যাব সবুজ আর সহজ জীবন নিয়ে তোমার সাথে।