আমি এক পৃথিবী নির্বাকের মধ্যে কথার দ্যোতনায়
                                                 নিমগ্ন
ভয়াল স্রোতের সিক্ত বালুকাতটে একহাঁটু সঙ্গমে
                                                 বিধ্বস্ত
উন্মত্ত ঢেউগুলো নির্নিমেষে গোধূলিসীমায় মিশেছে
                                                 মেঘের অলিন্দে
আমি জলঙ্গীর প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ব্যবধান মাপছি
                                                 রজস্বলা আর গর্ভবতীর


অস্তিত্বে অস্তিত্বে কোন্দল সাময়িক ব্যজস্তুতিতে খামখেয়ালি দৃষ্টিবিভ্রম,
সারা বিশ্বের মালিকানা হস্তান্তরের ক্লান্তি সবার চোখেমুখে,
বদহজমগুলো আজো কড়া নাড়ে অন্ধবিশ্বাসে সজোরে
ভেঙে পড়ে সতিচ্ছেদ পর্দা,তুমুল আলোড়নে উল্লাস মাখে দম্ভ..
আমি তখনো একা নদীতীরে উপভোগ করি সান্ধ্যকালীন ঝিমুনি,
আর কাব্যিগুলোকে আওড়াতে থাকি কথার খেলাপে..


এরপর,


এক আলোকবর্ষ পরে,
সহস্র যোজন নিষিদ্ধ পল্লীর বিষণ্ণতা মেখে,
ভবঘুরে দামাল এক আটলান্টিক প্রেমমাখা গল্পগাঁথা খুঁজে পেল..


আমি আজ সেই শেষরাতের গল্প বলব নৈশালোকে,
যেখানে নিদ্রিত রাত্রিও জেগেছিল,
বাসর সেজেছিল বেণুবনে,অন্ধকার হাতড়াচ্ছিল একদলা জমাট প্রেম,
যেখানে নিরন্ন উপবাস দমিয়ে দিয়েছিল চেতনা..
আমি পুনরাবৃত্তি চেয়েছিলাম অতীতের,
আর সে চেয়েছিল সম্ভাবনার অবসানে একটা নির্জন রাত,
নিঃস্বার্থ কামনাকে গল্পবন্দী করেছিলাম,
চোখের জল মুহূর্তগুলোকে মুড়ে দিচ্ছিল রোমন্থনে..
সে রাতে চাঁদও হাসেনি,
আর আমি এক দশক বন্ধ্যাত্বের অবসানে,
লাম্পট্যকে বেচে দিলাম প্রেমিকের ছদ্মবেশে..


আজও আমি জলঙ্গীকে বশ করি তোমার ছন্দে,
প্রলুব্ধ যাযাবর নিষ্কৃতি পেতে চায় নির্বাক কণ্ঠে,
খেয়ালী মেঘ উড়ে আসে দ্বৈত সত্ত্বায়,
আর আমার এক পৃথিবী প্রেম নদীর সাথে হাসতে থাকে মৃত্যুসাজে..