স্মৃতিকণা,
তোমার শরীরে কালির ছিটে,
এলো,গেলো নির্ভেজাল স্রোতের মত কিছুটা সমাজ,
তোমার পাঁজরে রক্তের দাগ,
উন্নাসিক প্রেমিক দেখেছ? নখ,দাঁত দেখেছ কামড়ের?
মিঠে রোদ্দুর বড্ড সুবিধাবাদী,ঘাসের গন্ধে মনখারাপী বিকেল,
তোমার গাঢ় একাকীত্বে মেঠো ভরা শ্রাবণ,
ভেসে আছে বিষাদমন্দ্রিত যৌবনের মন্দিরা,
অভ্যেসের ক্ষতে বিহ্বল অতীতের ধুলো মাখা স্মৃতিকঙ্কণ..
নিভে যাক,হাতড়াতে থাক,ভিজতে থাকুক ভেঙে যাওয়া মধ্যবিত্তি।


মেঘহৃদি,
তুমি ছ্যাঁকা খাওয়া পোড়া শরীরে আঙুল ছুঁয়েছিলে,
আমি মধ্যবয়স্ক প্রেম,
কালির ছিটের স্থাপত্যে আমি প্রেম বিলিয়েছি,
মেদের লালিত্যে ভেঙে যাওয়া কাঠামোয় আগুন ঝলসে ওঠে,
স্থবির আমি আঁকড়ে ধরেছি তোমার সমস্তটুকু,
মন ভেঙে প্রেম গড়েছি,ছাঁচে দাম্পত্য মিশিয়ে ছুঁয়েছি আঁচল,
তোমার রক্তের পাঁজরে বসন্ত ছায়া ঘনায়,
আমি সৌম্য,তুমি হৃদি।স্মৃতি ঘিরে মৃদু শব্দে সম্ভ্রমী ঘোর,
নাগরিক সন্ধ্যায় পরিণীতা তুমি,অস্পষ্ট অধিকারে আমার নিয়তি।।