তুমি যে ঔদ্ধত্য নিয়ে শুয়ে আছ
তাতে বর্ণমালার প্রলাপ অস্বাভাবিক নয়
ধূসর রাত যখন প্রমোদ আঙ্গিনায় ব্যস্ত
তুমি লালিত্যে ছড়িয়ে দাও শিহরণ
বেনোজল চুঁইয়ে শিরদাঁড়া শক্ত হয়
রাবীন্দ্রিক প্রেম স্তোত্রপাঠ করে বিছানায়
তুমি যে গাম্ভীর্যকে ঔদ্ধত্যের চেহারা দিয়েছ
আমি তাকে কুর্ণিশ করেছি আলিঙ্গনে,
অক্ষরগুলোকে প্রেম নাম দিয়ে স্পর্শ করলাম তোমার চোখে
তুমি অন্তর্বাসহীন চোখে তাকালে নির্দ্বিধায়,
দৃষ্টির সম্মোহন
এক কোমর লোকালয়ে জনস্রোতে মিশে গেল,
পূর্বরাগের অব্যয়,
তুমি যে ঔদ্ধত্য নিয়ে শুয়ে আছ
ভাষা তাকে আপন করে প্রত্যাশায়
দুর্বিনীত মধ্যরাত পাশ ফিরে শোয়
তোমার অহংকার আমার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে
বাইরে জেগে থাকা মোম গলে গলে পড়ে
দুটো কামনা উষ্ণতা খোঁজে অন্ধকারে
নিষিদ্ধ কামনা,
প্রতি প্রহরে শব্দ যখন ভেঙে পরে ঠোঁটের উপত্যকায়,
আমি কাব্যের প্রতি ছত্রে তোমাকে পাই অষ্টাদশীর প্রেমে।।