সনেট (শেক্সপিয়ারীয় রীতি)
[কখকখ, গঘগঘ, ঙচঙচ, ছছ]


।। আগমনী তিন।।
দেবপ্রসাদ জানা
    ০৪.৯.২০২০


।।এক।।


শুভদিন আগমন,স্মরণে শারদ
জাগরিত প্রকৃতির, রঙিন চরণ।
পরিনত অবকাশে উঠেছে পারদ
হাতে মাত্র কিছুদিন,মায়ের বরণ।


আয়ব্যয় মাত্রাহীন বিষন্ন জীবন।
শারদীয়া দরজায়, কড়া নেড়ে বলে,
এসে গেছি ঢাঁক কাঁশি কাশফুল বন।
মহালয়া আসিতেছে, কাল ভোর হলে।


কর্তব্য পালন করো,শারদ আহ্বানে
দিনের ব্যস্ততা জানি,কাজকর্মে কাটে
ক্লান্ত শ্রমে বিমোহিত,তবু মন জানে
সুখদুখ সখাসখি সাথে সাথে হাঁটে।

সব ব্যথা চলে যাবে,মার আবাহনে
সব বাধা দূর হবে,শারদীয়া গানে।


।।দুই।।


এসোগো শরৎশশী, দেবী দশভূজা।
দেশবন্ধু,লেবুতলা,পার্ক যোধপুর।
সোনার মণ্ডপ পাবে,চলে যেও সোজা।
সোনার গহনা পোরে,নেচো ভরপুর ।


সহস্র হাতের মুঠো, চকচকে অস্ত্রে ।
অসাধারণ প্যাণ্ডেল,রেখেছে গড়িয়ে।
নিয়নের আলো জ্বেলে,সেজো নব বস্ত্রে।
হোমের আগুন দেবে, সুগন্ধ ভরিয়ে।


ফুলে ফলে চারদিন,বড় আয়োজন
তারপাশে অনাহার,রোদন করিছে ।
ভক্তিহীন চকচকে তোমার বরণ -
বড় খুশি চারদিনে,অসুর মারিছে।


তারপর একদিন, গঙ্গাবক্ষ বেয়ে
যেইটুকু অবশেষ,সব গেলে নিয়ে।


তিন


শরতের কাশবনে, কুয়াশার জল।
নীহার সখী শিউলি,লাজে ঝরে পড়ে।
ঘাসের ডগায় ওঠে, দীর্ঘ কোলাহল।
আগমনী গান বাজে,মহালয়া ভোরে।


দূর্গা,দূর্গতি নাশিনী,এসো চরাচরে।
তোমার হৃদয়ে দেবো, বারাঙ্গনা মাটি।
জোছনার রাত দেবো,অট্টালিকা ভরে।
তোমার পায়ের ধুলো, দিয়ো পরিপাটি ।


ছড়িয়ে পড়েছে দেশে,বিষের আতর।
মাটি ছেড়ে উঠে এসো, দুর্গা দয়াময়ী
সবার মাথায় হাত,রাখো এ বছর,
দয়াময়ী দশভূজা, জননী মৃন্ময়ী।


স্বর্গমর্ত্য  অত্যাচারে,  মাতিল অসুর
এসো মাগো রক্ষা করো, যন্ত্রনা প্রচুর।