অমৃতবিন্দু
দেবপ্রসাদ জানা
   ২৯.০৫.২০২১


উপনিষদের কথা অমৃত সমান।
মনপ্রাণধ্যান সহ শোনে পূন্যবান।।
প্রাণ মন বাক্য দৃষ্টি শ্রবণের সনে।
ভীষন বাঁধিল দ্বন্দ্ব শরীরের কোনে।।
কে বড় বিচার হোক বলে সেই ক্ষনে।
সকলেই কহিল যে  বড় সেই জনে।।
মিমাংসা হলো না কিছু যত করে তর্ক।
কথায় বাড়িবে কথা তাও বোঝে মূর্খ।।
সব ছেড়ে গেল তারা ব্রহ্মার সকাশে।
ঝগড়া শুনেই ব্রহ্মা,মনে মনে হাসে।।
কহিল হাসিয়া ব্রহ্মা,রচনা আমার।
কে যে বড় আমাকেই দিয়েছ বিচার।।
এক এক করে সবে যাও দেহ ছেড়ে।
যারে ছাড়া দেহ আর উঠবে না নড়ে।।
সেই জন জগতের অধিশ্বর জেনো।
একে একে বছরের নিয়মটা মেনো।।
বাক্যই ছাড়িল দেহ, প্রথমে সবার।
বোবা তবু শরীরটা ঘোরে চারধার।।
অগত্যা শরীরে ফিরে সে এলো আবার।
দৃষ্টি বলে অহঙ্কারে,চলিলাম আমি।
কিছুদিন পরে বুঝো,আমি কত দামি।।
দিন যায়,রাত যায়,অন্ধ লোকে হায়।
সহজ সরল ভাবে,জীবন কাটায়।।
লজ্জায় নীলাভ হয়ে,ফিরে আসে দৃষ্টি।
শ্রবণের পালা এলো তার হবে তুষ্টি।।
বছর খানিক পরে সেও এলো ফিরে।
তারে ছাড়া ঠিকঠাক দেহ চলে ওরে।।
মন জানে তারে ছাড়া চলবে না কিছু।
মন ছাড়া শিশুদের চলে নাকি কিছু।।
জিজ্ঞাসা করিল মন,ওরে প্রাণ ভাই।
আমি ছাড়া প্রাণ তোর কষ্ট হয় নাই?
নারে ভাই,প্রিয়মন কষ্ট পাই কই?
ভাবনা বাসনা গুলো,কেন শুধু বই।।
প্রাণের যাবার পালা,এলো শেষ কালে।
প্রাণ গেলে সব স্তব্ধ দেহ শুধু বলে।।
সকলের মনোবল ফিরিল আবার।
মিলমিসে একসাথে জীবনে বাহার।।
বিপদ কাটুক দেশে,আমুদে মানব।
প্রাণপাখি থাকে যদি,পূর্ণ হবে সব।।
দূরত্ব বজায় রেখে এক সাথে চলো।
প্রাণের চেয়ে অমূল্য,কিবা আছে বলো।।
উপনিষদের কথা অমৃত সমান।
মনপ্রাণধ্যান সহ শোনে পূন্যবান।।