।।আঠেরোর হাতছানি।।
     দেবপ্রসাদ জানা
       ২৬,৫,২০২০


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
বকুলতলায়, সকালবেলায় সোনালী বসন্তে
পলাশবনে কদমতলায়।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
নদীর ধারে,পুকুরপাড়ে, সমুদ্রের জলোচ্ছাসে
শ্বেত বালুকাতটে কনে দেখা বেলায়।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
সন্ধ্যাবেলায় রুপালী জোছনা মেখে মাঠে
ঘাসের ওপরে শিশির ভেজা পায়।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
আত্মমগ্নতায় জীবনের ভেতরে রঙিন আলো
রাতের কল্লোলিনী দূরন্ত রাজপথে।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
মুক্ত বিহঙ্গের মতো এ ফুল ও ফুল কখনো
বেল, জুঁই চাঁপা পলাশ বকুলের সাথে।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
আলোছায়া সন্ধ্যায় ভাগীরথী গঙ্গার তীরে
পালহীন নৌকায় হাজার স্বপ্নের ভীড়ে।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
পাথরে মাথা ঠুকে পাথরভাঙ্গার গানে
উন্মত্ত যৌবনের গায়ে ভালোবাসা ঘিরে।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
একাকী অযুত কামনা ঢেউ তুলে বুকে
আকাঙ্ক্ষার সিঁড়ির নিচে উন্মাদনা।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
বুকের পাথরে নড়ে ওঠে বেদনার ধ্বনি
মুক্ত শৃঙ্খল পড়ে থাকে, সে মানে না।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
সুন্দরের হাতে হাত রেখে প্রেমে অপ্রেমে
ভালোবাসার চাঁদ করতলে রেখে।


আঠেরো তখন সবে হাতছানি দিয়ে ডাকছে
পৃথিবীর আলো বাতাস অন্ধকার আর
সুখ দুঃখ হাসি আনন্দের সুর মেখে।


আঠেরো তখন সবে ডাকছে হাতছানি দিয়ে
বন্ধনহীন রহস্যময় গ্রহচ্যুত এক প্রানী শাশ্বত
নক্ষত্রের দেশে চোরা রক্তস্রোত দূরন্ত।


আঠেরো তখন সবে ডাকছে হাতছানি দিয়ে
প্রত্যাশায় হাঁটে পরাভবে স্ব-রূপ নির্মাণে
স্নিগ্ধতার ফুল ফোটায় হলুদ বসন্ত।