ঘুম চোখে তোমারে
দেখতে চাই-
বসন্তের প্রাতে  
বিছানায় শুয়ে
তোমারে জড়িয়ে
থাকতে চাই।
ঘুম চোখে তোমারে
দেখতে চাই।
রাত শেষ -আজ শেষ।
কোকিলেরা ডাক দেয়।
ঝি ঝি পোকারা
লুকিয়ে পড়ে
অন্ধকারময়
কোন এক অরন্যে।
ল্যাম্প পোষ্টটার
ওপরে একটা পেঁচাও
ছিল রাত ভোর।
এখন আর নেই।
জড়িয়ে ধরি তোমাকে।
আষ্টেপৃষ্ঠে।
আকাশে ঘন অন্ধকার
মেঘের আড়ালে
আলোর রোশনাই।
অন্ধকারের ঘ্রাণ
আসে অন্ধকারে।  
শরীর উতপ্ত হচ্ছে
তোমার উষ্মতায়।
বসন্তের প্রাতে,  
তোমাকে দেখতে চাই।
চোখ বন্ধ করে থাকি।
তোমার বুকের উষ্মতায়
ঘুম আসে না।
রাস্তার আলোটাও নিভে গেল
পৌনে পাঁচটা।
এবার যাওয়ার পালা।
তুমি জানবেও না।
জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের আলো নেমে,
তোমার শরীরে
সাঁতার দেয়।
সাগরের জলে ঢেউ-এর
ওপর যেমন।
বাতাসে বেল ফুলের গন্ধ আশে।
আহাঃ
সবাই ঘুমায়ে আছে।
তুমিও।
হনুমান মন্দিরের ঘন্টাটা বাজল।
আমি তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছি। দূরে -
কোনো এক অজানা পথের খোঁজে।
কোনো এক অন্ধকারময়
গ্রহে।  
যেখানে দুঃখ কষ্ট বেদনা
প্রতারণা তাকিয়ে দেখবে না।
তারারা আলো দেবে
আমার ওপর ।
মৃত্যু সেথায়  নানা রঙের
পাখা মেলে নানা রঙ
ছড়ায়
লাল নীল হলুদ—