এই জানো বৃষ্টি এসেছিল
আমাদের গ্রামে।
এতদিন পরে তাকে দেখে
মন ভরে গেল।
কি রূপ তার?
ঘন কালো মেঘের মত চুল
ঝোড়ো বাতাসে উড়ছে।
শুভ্র বসনা, নীলাম্বরী চোখ
আজ যুবতী।
আঃ যেন হৃদয় জুড়িয়ে -
টুপটুপ দিঘির পাড়ে
ডালিম গাছের ডালে,
ছাদে লাগানো লঙ্কা গাছে,
লঙ্কা গাছে জল ঢেলেছে মৌমি কাল।
মম্ লাফ মেরে, পড়া ছেড়ে
ছাদে।
ইচি লেজ নাড়িয়ে,
ডাক ছাড়ে-
ওরে আয় বৃষ্টি এসেছে
মোদের গাঁয়।
আমার বউ হিংসায়-
আদিখেতা।
স্কুল থেকে ফিরছিল
কৌশিকী -তিন বছর হবে
নাচতে নাচতে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃষ্টিকে ডাকে-
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে-ধান দেবো মেপে।
কালো রঙের ভালো কাক
যে রোজ এসে পচাগলা খাবার খেয়ে যায়,
আমার বউয়ের হাত দিয়ে - সে
পাখা মেলে এক চোখে -
সারা গা -
হঠাৎ দেখি পাশের পুকুরে ডুব দিয়েছিল পানকৌরির বৌ।
লাফিয়ে ওঠে বৃষ্টির ডাকে -
ঘন কালো মেঘের কোলে
সূয্যিমামা মুচকি হেসে
লুকিয়ে পড়ে।
সবুজ বরণ ওড়না গায়ে
গোল পৃথিবীর হাসির জোয়ার।
আঃ-
পদ্মপাতা মাথায় করে
সোনা ব্যাঙের বৌ।
ওই যে মাঠে রাখাল ছেলে
নাচ লাগালো।
মুক্তো মুক্তো হাসি দিয়ে
করিম চাচা, হাওয়া খাওয়া ভান করেছে।
বৃষ্টি যেন চান করেছে
আকাশ ঘোমটা দিয়ে।
আগুন আগুন ভাবটা ছিল
রাগটা ছিল মনে।
বৃষ্টিতে তা হারিয়ে গেল
অমরাবতীর বনে।

==========