রবে চিরঘুমে
দেবপ্রসাদ জানা
    ৫.৫.২০২১


মরা নদী ভরে দেবে,হৃদয়ের কান্না,
নক্ষত্র উঠবে জেগে,কাঠের নৌকায়
রূপালী জোছনা স্রোত,টানে বিপরীতে
ভেলার মতো করেই,ভাবনাতে চলে
মৃত্যু আলিঙ্গন করে,নেওয়া পৃথিবী,
কেমন করে কাটাবে,শোষণের রাত।
ছিল মননের স্বপ্ন,যুগে যুগে রাখা
হে মহান পৃথিবীর,পথ গেছে বেঁকে
শিল্প সৃষ্টি কারিগরি,সংস্কৃতি শৈলীতে
তিলোত্তমা,বসুন্ধরা তোমার সৃজনে-
তোমাতেই রয়ে গেল,হাজার বছর।
মৃত্যু লোকে স্বপ্নে দেখা,সজীব নক্ষত্র
ছোঁবে না কখনো আর,পৃথিবীর ঘর।
পঞ্চভূতে গড়া সেই অমূল্য রতন-
বিষাদে বিলীন হবে, হবে বিসর্জন।
ধূয়ে যাবে মাটি দিয়ে গড়া,বিচুলির
শরীর,বেঁচে থাকার শিল্পে এমনই
সময়,অনন্য ক্ষুধা পেটে ওরে মরা
নদী,আকাশে বাতাস,হবে সমাসীন।
অন্ধকার পৃথিবীতে বরফের চাঁই
জ্বালিয়ে লণ্ঠন দেখি,খুঁজি দিবাকরে
গিয়েছে প্রাণ সূর্যের বহুদিন আগে,
আজীবন চেতনার প্রচ্ছন্ন আড়াল
অনেক গভীরে তার,মূলের সঞ্চার।
কর্ম শিল্প ছবি কবি কাল্পনিক চিত্র.
উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক বুঝি,অনন্তের ঘুমে
পাপী প্রাণ, ইশারায়,করিছে চুম্বন
ছুঁয়ে দেখো কত প্রেম,সারি দিয়ে মরে।
মেরুতে মেরুতে যেন,অন্তহীন নেশা।
জীবনমরণ তার,নিয়মে যে বাঁধা
আত্মার পাখিরা সব,রবে চিরঘুমে!