মনে পড়ে কি হৃদয়ের কোন প্রকোষ্ঠতে ছিলাম এতদিন।
খুঁজে দেখো তো কোন প্রকোষ্ঠতে ছিলাম আমি।
সেখানে কি এখনো রক্তকনিকা খোঁজে আমাকে?
প্রতিটা স্পন্দনে কি পাও আমার লেখা
গানের কথা গুলো?
হাতের রেখা গুলোয় বা কপালে কি লেখা আছে
আমার মেয়াদ আর কতদিন।
তুমি কি অপেক্ষা করছো এ বাঁধন ছিন্ন করে
কবে আমার শেষ খেয়ার পালে বাতাস লাগবে?
প্রতিদিন তোমার শরীরের সাথে আমাকে বহন করেছো।
আর কতদিন বহন করতে চাইছ?
তুমি কি অপেক্ষা করছো কবে আমি দাঁড়কাক হয়ে
এসে বসব তোমার ঘরের ছাদে।
তুমি কি ঠিক অপেক্ষায় আছো কবে দোকানের
সাজানো সুন্দর সাদা শাড়িটা তুমি কিনবে?
তুমি কি ভাবছ তোমার হাতের ঐ অনাকাঙ্ক্ষিত সাদা শাঁখা,
লোহার তৈরী বালা, যাকে তোমরা নোয়া বলো,
কবে তার ভার থেকে মুক্তি পাবে?
নাকি ঐ লাল সিঁদুরে টিপ, কপাল ফাটানো সিঁথের
দাসত্ব থেকে কবে?
পাবে মুক্তি।
যেদিন আমি তোমার বদলে অন্য কোনো নারীর সঙ্গ কামনা করব,
কিন্তু কি করে করি বলো আমি যে তোমাকে ভালোবাসি খুব।
অথবা যেদিন আমার প্রান বায়ু উড়ে যাবে ঐ
নীলাকাশে মেঘের মতো,
তারা হয়ে যাবো তোমার আকাশে ধ্রুবতারার মতো
তবেই সেদিন মুক্তি পাবে।