তোমরা না আমাকে ফুলের শয্যায় রেখেছিলে?
শতাব্দীর দ্বারে দ্বারে স্তম্ভ বানিয়ে বসন্তের বসন্ত ফুল দিয়ে সাজিয়ে।
আমি ঘুমিয়েছিলাম নিশ্চিতে স্বপ্ন নিয়ে
কি প্রশান্ত,পরিতৃপ্ত সে ঘুম।
সেই ফাঁকে তোমরা আমার নোবেল ছিনিয়ে নিলে।
গানে দিলে অশ্লীলতার ছোঁয়া।
এই নাকি তোমরা ভালোবাসো আমায়।
ফুল গুলো কি সব কাঁটা হয়ে গেল
পাপড়ি গুলো কেন এমন বিষাক্ত তীরের মতো বিঁধছে।।
তোমরা ঘটা করে আমার জন্মদিন পালন করো।
আমার তৈরী খাবার আমাকেই খাওয়াও। কেন?
আমার লেখা গান, আমার লেখা কবিতা গল্প নাটক দিয়ে
আমার ই মনোরঞ্জন করতে চাও।
পঁচিশে বৈশাখী!
আমি একা করিডরে,
দীর্ঘ প্রান্তরের এক কোনে।
অথবা রাস্তার মোড়ে ধুলো বালি মেখে আমার স্মৃতিস্তম্ভ।
রোদ বৃষ্টি ঝড়, একটা ঢাকা নেই, মাথার ওপর
উন্মুক্ত আকাশ।
আমার সর্বাঙ্গের মালা গুলো যেন বিষধর
কাল সাপ।
এই কোথায় ঘুম ভাঙল আমার,এ কোন পৃথিবী?
এ কোন দেশ?
যে দেশে আমি ফুল দেখেছি নদী নালা সমুদ্রের
সৌন্দর্য দেখেছি, বনে জঙ্গলে সবুজের ছবি এঁকেছি।
সুরের ডালি দিয়ে সাজিয়ে ছিলাম
পাখিদের গান। কোকিলের ডাক
ফেরিওয়ালার হাঁক। আমলকির বন।
পল্লী নারীর মন। গরুর গাড়ির শব্দ।
ঠন ঠন ঠন লণ্ঠন। কলসী কাখে পল্লীবালা।
আষাঢ়ের রাত্রিকোলাজ।
এই মৃত্যু কোন উপত্যকায়
প্রতিরাতে এখন পেতনির আর্তনাদ শুনি।
আমাকে তোমরা প্রতিদিন হত্যা করো
ঐ ভ্রান্ত করিডোরে।।