শুনেছি তার পদধ্বনি
শুনছি ঘুমের ঘোরে।
দরজায় এসে নাড়ছে কড়া
কে এমন জোরে।
মা এসেছেন পূজো নিতে
মাগো দুগ্গা মা।
প্রতি বছর আসেন তিনি
বাজিয়ে দামামা।
ঘুমের ঘোরে দরজা খুলে
বলি মায়ের মুখে।
পাশের বাড়ি যান না এখন
আমরা আছি সুখে।
এ বছরে পারব না মা
পরের বছর আসুন।
এ বছরে সোনার দাম
একে বারে আগুন।
ফল ফুল ঢাকি আলোর
অনেক বেশী দাম।
যুবকরা সব মদের নেশায়
করছে হরি নাম।
দাঙ্গা আছে মারপিট আছে
ধর্ষণ হামেসা।
তোমার জন্য কে দেবে সময়
লাগে বচসা।
একটা করে প্রতিবছর
বন্ধ হচ্ছে পুজো।
অর্থ নেই মধ্যবিত্তের
তুমি একটু বোঝো।
সারদা নারদা রোজভ্যালি
সব নিয়েছে কাড়ি।
ভালো যদি চাও গো মা
এখুনি যাও বাড়ি।
নইলে সব খেঁপে আছে
বোমা বারুদ নিয়ে।
ছেলে গায়ে জামা নেই
ছাড়বে না হাতে পেয়ে।
একেই তুমি ভিখারির বউ
পাবে কোথায় এত।
রান্না ঘরে চাল নেই।
ভিখ মাগবে কত?
রোজ রোজ যা হচ্ছে না মা
তোমায় বলব কি?
গছিত টাকা মেরে নিয়ে
করছে চালাকি।
কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা মেরে
বিদেশে ঘর বাঁধে।
তাদের আবার আদর করে
দেশের নেতা সাধে।
এ বছরে দেশের নেতা
মন্ডা মিঠাই খাবে।
জনগনে দেখিয়ে কলা
এদেশ ওদেশ যাবে।
দাও না মা বিদেশ পাড়ি
আছে কালো টাকা।
তোমার তরে সোনার রথ
সেথায় আছে রাখা।
ঘুমের ঘোরে অনেক কথা
বললাম নিজের ভেবে।
কাউকে যেন বোলো না মাগো
আমায় জেলে দেবে।
গনেশ ঠাকুর কলকাতাতে
আসছেন মজা করে।
বোম্বে ছেড়ে কলকাতাতে
এলে কিসে চড়ে।
মুসিক ভায়া কলকাতাতে
করছে নাচানাচি।
বাবাকে বলো ভেব না কিছু
আমরা ভালোই আছি।


===