আসতে যেতে  দুখের কামড়  
লাগে মানুষের গায়।  
কামড় এমন জীবনটা তার
বদলে দেবে হায়।
ঘরে ফিরে সেই বেচারা র
বিষম ব্যথা মনে।
দুই দুইটি মেয়ে যে তার
কথা নাহি শোনে।
রাত্রি জাগে চিন্তা বড়
কেমনে বোঝায় তাদের।
বাপের কথা কানে তোলে না
বয়স বাড়ছে ওদের।
কপালে রাখি দক্ষিন হস্ত
চিন্তায় দিশাহারা।
যাদের জন্য চিন্তা করে
তারাই যে ছন্নছাড়া।
শরীরটা আর যায় না সঠিক
যন্ত্রনাতে ভরা।
গাঁটে ব্যথা পায়ে ব্যথা
সবই জং ধরা।
হঠাৎ মেয়ের কি যে হলো
মিষ্টি মিষ্টি কথা।
কেন বাবা এমন করছো
মনে লাগে ব্যথা।
কষ্টে হাসে মেয়ের বাবা
তুই হাসালি মোরে,  
দুপুর বেলা উঠে বলিস
আজ উঠেছি ভোরে।
যাই করিস, পড়া করিস
মনের মত করে।
ক্লাসে যেন তুলতে না হয়
নেতা হোতা ধরে।
ভেবো না বাবা রেজাল্ট মোদের
ভালো নম্বর পাবে।
সেদিন না হয় মোদের সাথে
রাগ করে রবে।
দুঃখ একটু কম হলেও
চিন্তা মনে পাই।
খাওয়া নিয়ে পড়া নিয়ে
সারাদিনের লড়াই।
দুই মেয়েতে লাঠালাঠি
কিছু একটা নিয়ে।
কে আগে কে যে পরে
বুঝবে কি টা দিয়ে।
সংসারের নাম ধুম্রকুন্ড
দেখা যায় না কিছু।
যতই তাড়াও সমস্যা গুলো
তবুও নেয় পিছু।
বাবা মায়ের সমস্যা এক
সময় মত খাওয়া।
সেই কাজটাই হয় না আগে
কি এমন চাওয়া।
সারাদিনের হাড় খাটুনি
বসের কাছে মুখ।
এটা ওটায় ভুল হয়ে যায়
তাতেই বাড়ে দুখ।
ঘরের চাপে অফিসে ভুল
অফিস ছাড়লে ঘরে।
কোন কাজটা যাবে না রাখা
বলা যাবে না পরে।
সংসার টা এক মেঘপূঞ্জ
মেঘ ঢাকা আলো।
রামধনু রং ঘিরে থাকে
বাইরে থেকে ভালো।
ভিতরে সব ঘুন ধরা বাঁশ
ভেঙ্গে পড়বে কবে?
মাথার ওপর আকাশ কাঁদে
কে যে কোথায় যাবে।
সংসার ধর্ম বড় ধর্ম
সাধু জনে কয়।
সংসার যে করে নি তারা
তাই মনে হয়।
এত কষ্টের মধ্যে ও থাকে
ভালোবাসার টান।
সংসার নামে সুখ পাখিটা
সদাই করে গান।

  
======