জটাধারী ত্রিশূল ধারী
কৈলাশে তার ঘর।
নন্দী ফিরিঙ্গী দুই ষন্ড
তার যে অনুচর।
সদাই খুসির সংসার তার
বরফ ঘেরা স্টোর।
খালি গায়ে থাকেন বাবা
গায়ে ভীষণ জোর।
রেগে গেলে স্বর্গ মর্ত
কাঁপিয়ে তুলতে পারেন।
যতই রাগুন ভোলা বাবা
ভক্তের কাছে হারেন।
শ্রাবন মাসে বাবার মাথা
দারুণ গরম হয়।
মেঘমল্লার বাদল বৃষ্টি
সবার লাগে ভয়।
দলে দলে কাঁধে করে
চলে বাবার বাড়ি।
সারা শ্রাবণ জলের তোড়ে
গরম যাবে ছাড়ি।
কিন্তু বাবা ভোলা বাবা
মোদের ভারি বিপদ।
মাটির নিচে জল যে শুন্য
ওপরে শুন্য হৃদ।
দশ বছরে জলের মূল্য
সোনার থেকে দামি।
তাইতো বাবা তোমার তরে
জল ভরি না আমি।
একটু দয়া করো বাবা
জলের কষ্ট বোঝো।
যত জলে স্নান করছো
তার অর্ধেকটা ত্যাজো।
জলের অভাব করো নাকো
আমার সোনা বাবা।
ধরিত্রী মায়ের বুক চিরে
অনেক পানি দিবা।
===