সময়টা চৈত্রের উষ্ণ এক দুপুর,
তুমি হঠাৎ করেই বললে -
আমার নামেই কেনো গা ভাসালেন খোয়াইয়ের চরে ?
আমার ছোঁয়ায় শিউলিও যে প্রাণ হারায় চিরতরে ।
আমি কোনো উত্তর দিলাম না,
আবার বললে -
মৌনতা কোনো উত্তর নয়,
এ শুধুই অযাচিত হারানোর ভয় ।
এবার তোমার চোখ বরাবর তাকালাম,
দেখলাম -
আমার উত্তরটা তোমার বহু আগে থেকেই জানা,
শুধু  শিউলির মোহ নাকি তুমি, বাধ সাধছে এই দুটানা ।
তোমার হাতটা ধরলাম শক্ত করে,
আমাদের প্রথম হাত ধরা এটাই,
তুমি হকচকিয়ে গেলে, যেনো বিধাতার নিয়ম ভেঙেছি ইচ্ছে করে,
বললাম আমি -
শিউলি তোমার প্রতিচ্ছবি, তুমি শিউলির না,
তোমায় ছাড়া শিউলি-মোহ কোনো মানেই রাখে না ।
বললে তুমি -
মোহ ছাড়াই গা ভাসালেন ? বিধাতা যদি সদয় না হয় ?
তখন জীবনে তিক্ততা ছাড়া বাদবাকি সবকিছুই পরাজয় ।
সময় নিলাম কিচ্ছুক্ষণ,
বললাম -
তোমার নামেই খোয়াই লিখা, খোয়াই নদীর চর,
চরের বুকে অস্তিত্ব তোমার জীবন্ত দেবীশ্বর,
মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ ফেরে এখানে তোমার স্পর্শতায়,
বিরহ তখন কান্না ফেলে রঙীন ফানুস উড়ায়,
তোমার চোখে এই যাযাবর জীবন ফিরে পায়,
তোমার হাতেই ভর করে সে কবিতা জন্মায় ।
তুমি নিশ্চুপ, চোখে অশ্রু,
জানি এটা দুটানা নয়,
এ যেনো চৈত্রের দুপুরের সাক্ষী হয়ে থাকা বাসন্তী-বিষ্ময় ।


৮ মার্চ, ২০২২
তপোবন, সিলেট