দেবার্চনা ভট্টাচার্য্য


চড়ুই করেন কিচির মিচির ছোট্টো খুদের ঝড়।
শালিক ছানা দিচ্ছে হানা চিলেকোঠার ঘর।।
পায়রা হাঁকেন বকম্‌ বকম্‌ রকম বোঝা তার।
চালের আগে ভাত ছড়ালে মুখটি করেন ভার।।
ময়ূর পেখম রঙ বাহারি রঙীন জামা গায়।
আসছে বুঝি বর্ষা রাণী নাচ দেখাবে তাই।।
ঘর নাই থাক পূর্ণ যে তার ছন্দ সুরের জোর।
কোকিল ডাকে নতূন সাজে বসন্তের ঐ ভোর।।
রোজের ভোরে বেহাগ সুরে কঁকঁর কঁকঁর রাগ।
লাল ঝুটি আর লম্বা ঠোঁটে মোরোগ ভায়ার ডাক।।
বাঁশির মত লম্বা ঠোঁট আর লম্বা দুটি পা।
শ্বেত বসনে লাগছে ভারী বক-বকালির ছা।।
ছোঁ মারে যেই এক নজরে সকল মুন্ডু পাত।।
পড়ল যদি চিলের নজর সবাই কুপোকাত।
কাক বলে তায় সবাই চেনে রঙটি বেজায় কালো।।
আবর্জনা কুড়িয়ে ফ্যালে কাজ পেয়েছে ভালো।
কান ফাটানো কাঃ কাঃ স্বরে মনের সুখে গায়।।
ঝাড়ুদারের নাম পেয়েছে বেজায় খুশি তায়।।
মাছরাঙা তার নামটি খাসা জলের ধারে ঘর।
যেই না পাওয়া মাছের দেখা ওমনি চেপে ধর।।
কপাত্‌ করে আস্ত সে মাছ মুখের মধ্যে ঠুসি।
রাঙিয়ে দেহ নানা রঙে মাছরাঙা তাই খুশি।।
ঠকাস ঠকাস খুটুর খুটুর কাঠ কাটে দিন ভোর।
আস্ত গাছে ফোকল করে মস্ত ঠোঁটে জোর।।
কাঠের কাজে ব্যাস্ত ভারী সময় নেইকো আর।
ভাবছ কে সে কাঠঠোকরা নামটি হলো তার।।
নাইবা হলো ইঁট সুরকি নাইবা সিমেন্ট ঠাসা।
খড়কুটো তেই ব্যাস্ত ভারী বুনতে নিজের বাসা।।
শেখাইনি কেউ হাতে ধরে বলেনি কেউ কর।
তবুও খাসা বাঁধন ঠাসা বাবুই পাখির ঘর।।
থপাস থপাস পুকুর জলে জলের পোকা খায়।
জলের পরে স্থলেও চলে আঙুল জোড়া তাই।।
রাজহংস নামটি যেনো ভেবোনা কম ভাই।
সোনার ডিমের গল্প আছে ভুলে গেছ তাই।।
দিন ফুরোলো আকাশ যে তাই অন্ধকারে সাজে।
হুতুম পেঁচায় বড্ড চ্যেঁচায় মন বসেছে কাজে।।
জেদ ধরেছে ছোট্ট ছেলে খাবার এখন চাই।
ঘর ছেড়েছে তাই প্যাঁচানী খাবার কোথায় পাই।।
চোখ দুটোরো জোর বেড়েছে যেই হয়েছে রাত।
প্যাঁচার ঘরে জমবে আসর পড়বে রকম পাত।।
ব্যাস্ত সবাই আপন কাজে লাগিয়ে বুকের জোর।
রাত ফুরালেই কাটবে আঁধার আসবে আবার ভোর।।
চোখ ধাঁধাঁবে ঢুকবে যখন ভোরের আলো ঘরে।
সারবে আসর চট জলদি মধ্য রাতের পরে।।
যাক ফুরালো কাব্য কথা আসল কথা কই।
এদের পাশে আমরা যেন সকল ভাবে রই।।
সমাজ জুড়ে সকল পাশে দেখতে এদের চাই।
আমরা আছি এদের সাথে এরাও আছে তাই।।


**** ছড়াটি স্ত্রী'র লেখা, ছোটদের ছড়া। গতকাল পটলবাবুর লেখা পড়ে ছড়ার কথা মনে হলো তাই দিলাম। সকলের ভাল লাগলে ভাল লাগবে।