নরেন্দ্রনাথ শিকাগো-তে সবকে শেখায় অঙ্ক -
"ভালোবাসা দিবি নিবি বাজাবি প্রেম্-শঙ্ক।
চোখ বুজে নয়, চোখ খুলে দ্যাখ্, সরল বাঁচার সূত্র
নারী পুরুষ দুটোই তো এক, মায়ের সমান পুত্র।
হিন্দু মুসলিম জৈনো বৌধো জাত আলাদা নাই
মুচি ম্যাথর কামার ছুতোর সবাই সবার ভাই ।
ব্রহ্মদেব: মহেশ্বর:  বিষ্ণু নারায়ণ.....
আমাদেরকে গাঁথতে হবে একটি সুতোয় মন -
সংস্কারের নৌকা চালায় গলদ মনের মানুষ,
জনতাতে জ্ঞান ঢেলে যায়, নিজেদেরি নাই হুঁস.....
যার ভিতরে বিদ্যে রয়,সে, জ্ঞান করেনা দান...
যার ঠোটে সুর সংস্কৃতের.... সে গাহে না গান।
ভোগ বিলাসে কেউবা দেখি পুড়ায় বাপের মুখ
যার ঘরে নাই ঘটি বাটি, স্বপ্নে জুড়ায় বুক ....
যার কাছে ধন ভুড়ি ভুড়ি, কুড়ায় সে জন খ্যাতি,
যার হাতে নেই ফুটা কড়ি সে রচে কালরাতি।
যার পাতে জীব করে ছটফট, শাক দিয়ে মাছ ঢাকে,
যার মাথে নেই চালচুলা, সে, ল্যাংটা হয়েই থাকে।
কালু ভোলু সেপাই দেশের, যুদ্ধে হারায় প্রাণ,
অলক পলক ঘরে বসেই খোঁচায় অভিধান।
অনন্তকে জানতে হবে, কেউ যদি বা বলে
সমাজ তাকে পাগল ব'লে পথ এড়িয়ে চলে।  
আপন মায়ের নামটা উঁচু করবে দেশের কে?
জোয়ান পদা! যগা! মধা ! নেশায় ডুবেছে....
নিজের মনে নিজেই মুড়োল নিত্যানন্দ রায়
লোকের দেয়া জুতো লাঠি আপুন কাঁধে বায়।
পাহাড় চোখে ফুটে ওঠে বিশ্ব জগৎ সারা
স্রোতের বেগে চলছে ধেয়ে নীল জলধীর ধারা,
বিনিদ্র রাত ছেঁড়া ক্যাঁথায় দিন গুনে দুর্বল,
দরীদ্রদের আঁখির পাতে ভাসে গঙ্গার জল।
শিশুর মরা দেহ কোলে মহাভারত কাঁদে ....
রামায়ণে রাম রাবণের যুদ্ধ খালি বাধে    
নাম বদলে ধাম বদলে রত্নাকর বাল্মীকি...
কুড়োল ছেড়ে মহাকবির কলম ধরে দেখি।
কবি হয়ে রবি ঠাকুর নোবেল পদক পায়
ভারতবর্ষ কাব্যে আমার গুজব রটে যায়....
সৎ চরিত্র, দুষ চরিত্র, মনের দুটি রূপ...."
বিবেক দাদার কথার তাপে সব বিদেশি চুপ।