এখানে গঙ্গা একটু বেশী পবিত্র
তাই জীবন মৃত্যুর ফাসলা বড় কম
কেউ আসে শান্তির খোঁজে,কারোও অস্থির কলস ।
কোন কর্মকান্ডির ছাতার তলে
অবিরাম চলে লাভ লোকসান
গৃহস্থালি শৃঙ্গারের নানান সামগ্রী
চন্দন,তিলক,ভষ্মমাখা বাবার আশীর্ববাদ
দর কষাকষি, বেচাকেনা ।
তরুণীর দিকে তির্যক দৃষ্টি দিয়ে
চলে পালোয়ানি শরীর চর্চা ।
কোন সফল প্রবাসীর ভান্ডারা
পুরী সবজী পেতে ভীড় করে আসে ভারতবর্ষ ।
বিদেশীর স্মার্টফোনে বন্দী হয়
স্নানরতার অদ্ভুত বার্তা।
চিত্রশিল্পীর খাতায় থমকে যায়
কোন অসতর্ক  মমতাজের মায়াবী মুহুর্ত।
আস্থার ঢেউ খেলে নদীর প্রতিটি তরঙ্গে ।
ফল,ফুল,বেলপাতা, ঘিয়ের প্রদীপ
বর্জ, উচ্ছিষ্ঠ সব পাপ পুন্যের মতো
নদীর স্রোতে বয়ে যায় নাকি থেকে যায় ।
বুড়ো বিকেলে মাঝির পীড়াপীড়ি আব্দার
একশ টাকায় ওপারে যাবার ।
আঁধার নামায় আরতির প্রদীপ,
ধুপ চাঁদনির ভারতনাট্যমে
বদলে যায় দৃশ্যপট ,
নদী তার আপনছন্দে
জীবনের জলছবি এঁকে যায় ।


                স্বপন দাস


---- বেনারসের ঘাটে বসে লেখা