আমি মাঝে মাঝে কিছু বেসুরো গাই।
নিজস্ব প্রবৃত্তি থেকেই গেয়ে উঠি।
আমি জানি সুর বিহীন সে সব গান
কেউ পছন্দ করে না।
তবুও মানুষ কখনো কখনো বেসুরো গায়।
আমার বেদনার সমস্ত প্রতিফলন যে তরঙ্গে,
সেখানে শব্দ ও সুরের মিষ্টতা ও তিক্ততা মিলেমিশে যায়।
কিছু লোক চাঁদনী রাতে চাঁদ উঠে গেলে
পানপাত্র হাতে নিয়ে সে সব গানের তারিফ করে।
মাথা হিলতে থাকে সমাজের সেইসব পরজীবীদের।
আগামী কোন অশুভ ইঙ্গিত বুকে নিয়ে
দুরে শোনা যায় সারমেয় সঙ্গীত ।
অন্ধকারের বুক চিরে আমার বেসুরো গলা
হয়ত তাদেরই সুরে সুর মেলায়।
অনেকে এগিয়ে এসে বলে
বেসুরো তালে হাত পা নেড়ে
মধুশালায় মধুমাছিদের তাড়াচ্ছো তুমি,
হুল ফুটানোর ভয় নেই?
আমি বলি ভয় থাকলে গান গাওয়া যায় না।
তবে অনেক বেসুরো স্বর সমবেত হলে
একটা শক্তিশালী সুর তৈরী হয় বৈকি।