তার হাতে ছিল কয়েকটা সাবেকি ফুল।
অতি সন্তর্পণে আমাকেই প্রথম দেখিয়েছিল।
তারপর স্বভাবসিদ্ধ চপলতায় কোথায় যে হারালো..।
হারিয়ে গেলেও যেন অতীত হয়নি কখনো।
শুধু কেটেছে অনেকগুলো উষ্ণ-দুপুর দিন।
মলিন হয়নি এক চৌকো ফ্রেমে বন্দী তার শরীরের গন্ধ।
আজকাল অসুস্থ স্ত্রীকে ঘুম পারিয়ে
শহরতলীর সেই পুকুরপারে চহলকদমী করি।
চারিদিকে ঘন আবাসন,ব্যস্ত দিনচর্যায় কোন ফুল ফোটে না।
তাই তাকে কেউ মনেও রাখেনি।
নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকি যেন অপেক্ষায়।
স্বপ্ন নিবিড় হলে সেই গন্ধ ভেসে আসে।
পিছনে আমার অভিমানী রঙে আঁকা-
                    এক সান্নাটা বিকেল।


ব্যঙ্গালোর ২৭।৪।১৮