পাহাড়ি ঝর্ণার ঝিরিঝিরি ধারার মত,
তোমার চঞ্চল কথার মালা
যখন আমার গলা জড়িয়ে-
এই বুক স্পর্শ করে -
স্বর্গের আবসারাদের হাতে সুসজ্জিত
অমৃত পেয়ালা
লুটাইয়ে বর মাগে তোমার পদ্ম চরণে।


আমি পুরুষ বলে নয় হে প্রিয়া -
সুফি প্রেমের যাযাবর এক মুসাফির বেশী
ফিরেছি আপন ঘরে ।  
ঘুরেছি কত সবুজ বনতল,
পর্বত শত,
চোরাবালি ভরা মরুপ্রান্তর।
শপদসংকুল দোলে এসেছি
নিশুকির ডাকে সবই একাকার,
কভু  থামিনি ডরে।


কত শত রূপ ধারণ করেছি,
কত যোগে কত আকার পেয়েছি
ধূম্রজালের ভ্রম সকলি
মন জানে সব মিছে।


তভু একদা শিউলি কানণে -
দেখব প্রেমে কি আছে- জাগিল মননে।


রুপ ধরিনু-
শিশির ঝরিছে কাঁপন ধরিছে,
মন্দির ছাড়ি পুরোহীতেরা লুকোলো ঘরের কোনে।
ঘাসের উপর মুক্তা বিছিয়ে,
ঝুর ঝুর ঝুর ফুল ঝরায়ে,
সাজায়ে দিয়েছি ভরে।


দূরে দাঁড়ায়ে খেজুরের গাছ
বাতাসে মিশেছে মিষ্টি সুবাস,
কানাকানি করে ফুলে ফসলে
আসিছে ধরায় দ্রুত ঋতুরাজ ।


যেই না প্রথম আলো ফুটিল -
একটি পাখি সহসা ডাকিল
থামিয়া গেল আবার ।


ছম ছম ছম নুপুর পায়ে -
আলতা জড়ানো পল্লী বালার
পথ চলেছে ধীরে ধীরে।


আগায়ে আসিলো রাঙা দুটি পা
ছরানো যে ফুল হেসে কুটি কুটি-
তাহাই দলিছে চন্ডালিনী।
রাজ কাননের ফুল তুলিছে
করে কত ছলা-কলা ।
ভাবে,  কিছু হবে তার দুল
আর কিছু হবে দেবতার মালা ।


মালা গাথি সব ইন্দ্রকেই দিলি?
অভিসাপে বীণাপানি-
যে জন সকল দেবতা পুজে না
সে রবে চিরকাল চন্ডালিনী।


নীশিতে যে ফুল গন্ধ বিলায়ে
প্রভাত কালে চরনে লুটায় ।
তারেই দয়াময় গ্রহন করে
হয় যদিও সে  ক্ষিণকায়।



*(শেনহ মানুষ...  ভাই.....)