মর্মে মর্মে কেঁপে উঠেছে বুঝি মরমী বেদনা
এতো অভিমান কিসে? আর কারো নাই জানা


সকালের সেই প্রভাতী গানে মজেছিল প্রাণ
ভেবেছিল জীবন অতি-মায়াময়ী সর্বদা মহান


মৃত্যু চেতনা মনের কিনারে এলেই যত শোক
অনাহারে, ভয়-ভীতিতে কাঁপত যে বুক
জড়ায়ে ধরে জামের শাখা, কখনো স্ত্রী-সন্তানেরা
কাঁদত ফোঁপায়ে। বলতোনা কিছু যাখন হতো বাড়ি ফেরা
কাখনো মায়ের মুখ পানে চেয়ে থেকে কভু
দু'চোখ থেকে দু'ফোঁটা অশ্রু গড়াত তবু
রাত্রির আকাশে প্রিয়তমা স্ত্রীর বুক থেকে
ওঠে
জোছনার আলো দেখত। ভাবত, যেতেই কি
হবে?
জীবনের মায়া কত যে তখন করত অনুভব
আজ কেন তবে, এতো কিছুর পর সর্বদা
নীরব?
কী যেন অভিমান করে নিজেকে বেঁধে দিলো
ডালে
এর মানে যে কি ছিলো প্রকাশ কি হবে
কোনো কালে?
যেই ভাসনায় এতকাল করত আরাধনা
বিধাতা কি এই রূপে নিবে, ছিলো কি জানা?
হয়তো অন্তরে তার একটু আভাস ছিলো
তাই ভয়ের মাঝে দিন-রাত মজে ছিলো
আজো আকাশে জোছনা ছড়ায় চাঁদটাও হাসে
যে চলে গিয়েছে সে কি কভু আসে?
কেন তবে মিছে এই মান-অভিমান-দ্বেষ
অকারণেই যদি সব হয়ে যায় শেষ।
৭.জ্বলাই.২০১২