আঙ্গিনাতে লাগানো আছে
        দুইটা লিচু গাছ,
শোভা দিচ্ছে ছায়া দিচ্ছে
        তবুও মনে আঁচ।

বেশ কয়টি বছর গেল
     ধরেনি গাছে লিচু,
আমি কিন্তু সেবা যত্নে
       হয়নি কভু পিছু।

গিন্নি একদিন কাস্তে হাতে
      আসছে রেগে তেড়ে,
বলে আমায় কাস্তে দিয়ে
      সব ডালপালা দাও ঝেড়ে।

আমি বলি অযথা ওগো
       মেজাজ করোনা গিন্নি,
হয়তো ধরবে এবার গাছে
        মানলে দরগায় শিন্নি।

শীতের শেষে পাতা ঝরে
        ভরছে নতুন পাতা,
ভর দুপুরে বসলে নীচে
        মনে হয় উপরে ছাতা।

গাছের নীচে বসার জন্য
        বেঞ্চ রয়েছে পাতা,
ছন্দের গন্ধে অবসরে তাই
         ধরছি কলম খাতা।

কলম ধরে ডায়েরি খুলে
          দৃষ্টি মেলেছি  যেই,
সূদুর দিগন্তে ঝাঁঝালো দুপুরে
          মরীচিকা ছাড়া কিছু নেই।

বিষন্ন এ চৈত্রে যেন
          চারিদিকে হাহাকার,
মাঝে মাঝে দক্ষিণা বায়ু
          প্রবাহিত ও দরকার।

জোসস্নাস্নাত মধুর লগ্নে
          তাকালে আকাশ পানে,
ছন্দরা সব আনাগোনা ক'রে
           কি বলে যেন কানে কানে।

প্রকৃতি বলে আমায় নিয়ে
           ভাবছো কেন আর,
সবই দিয়েছি নয়ন ও মনে
           সাজাও বরাবর।

ধ্যান যোগে মুগ্ধ হয়ে তুমি
           চালাও কলম কালি,
কলমের মাঝে কালি রূপে
           আমি ছন্দ দেব ঢালি।

পূর্ব পাশে বয়ে গেছে
           নির্বিশখালি দোহা,
কচুরিপানা ও শেওলাপানা
           শুকিয়ে করবে আহা্!

এই তো সেদিন তাকিয়ে দেখি
           ফসলে ভরা মাঠ,
ফসল তুলেছে গোলা ভরেছে
           কৃষক বুনবে পাট।

মৌমাছি আর প্রজাপতি
           ফুলে করছে বিচরণ,
এ ফুল থেকে ও ফুলে উড়ে
           মধু করে আহরণ।

কঁচি পাতার ফাঁক দিয়ে
           যেই মেলেছি আঁখি,
রঙিন আকাশে ডানা মেলে উড়তে
           দেখা গেল শুকপাখি।

গাছটিতে আজ সাঁজ এসেছে
            ঢালবো অতি জল,
হয়তো এবার থাকবে কুঁড়ি
            টিকবে গাছে ফল।

ঘন্টা গেল দিন গেল
            সপ্তাহ গেল চলে,
তাকিয়ে দেখি সে ফুল এখন
            ভরে গেছে ফলে ফলে।

সবুজ কঁচি পাতার উপরে
            সেই ফুলে ফলের সাঁজ,
দুঃখরা সব পালিয়ে গেল তাই
             কাঁটলো এবার লাজ।

                 ****সমাপ্ত ****

                    রচনা কাল ঃ
                  ১০/০৩/২০২৫