সাগরের অতল গর্ভ হতে ছুটে আসে মোহনীয় মায়া
পাহাড়ের চূড়ায় শুভ্রতায় গাঁথে এসে অমর্দিত ছায়া;
দেখছি বিশ্বলয়ে আদিম সভ্যতা হতে সভ্যতা কোণে
খুঁজেছি দ্রাঘিমা কিংবা ধ্রুবরেখার এপাশে ওপাশে।


শেষ অবসানে ভাঙালেশ আমি তোমা শ্রাবণে যখন;
চাওয়ার সীমানা ছাড়িয়ে অবাচী উষার ঝলকে
বিদগ্ধা উন্মত্ত প্রাণে, শ্রান্ত আঁখি জল দিলে মুছে;
আদিতা রাই; তুমি সব দিলে ঢেলে!
আদিতা তুমি-
তুমি আদিতা ভালোবেসে।


যে সিদ্ধি দিলে তা কি শুধু আমারই জন্যে?
আমারই জন্যে আদিতা!
সৃষ্টির উল্লাসে অবারিত দূরে ঠেলে
কেন তবে এতো কাল ঘোরালে?
কোন্ মায়াজালে
কোন্ আশায় কোন্ বিলাপে কোন্ মোহনে
দুদিনের বাঁধন বাঁধিলে তব ভুবনে?


জানি আমার এ রূপ রবে না চিরতরে
তবু নিথরতা নীরবতায় আমি তোমায় ভালোবাসি
শুষে নেই মরুভূমিতে পড়া বৃষ্টির ফোঁটা
আর বিরহ ব্যথা চেপে তোমারই স্বপ্ন আঁকি,
হই চির উদাসী।


আদিতা রাই, তুমি থাকবে আর আমি-
লীন হয়ে যাবো
তোমারই আঁচলে তোমারই পরশে;
তুমি তো জানো আদিতা আমি নিস্পৃহ,
নিস্পৃহ আমি তোমায় কাছে পেলে।



উবাচী ঊষা> দক্ষিণ মেরু জ্যোতি
বিদগ্ধতা > সুনিপুণ
DHRITI RAJ


আবৃত্তি সহ প্রকাশ করা হলো।