বছর সাত বেরিয়েছে আজ ফেরেনি রামা দেশে;
কেমনে হাসায় ফিরবে শিখে কাতুকুতুর বেশে,
তাইতো বিনি যত্নে রাখে রঙ বেরঙের জামা;
রোজ দুপুরে দেয় সে মেলে ফেলতে যে তা মানা,
বৌ খানি তার বেজায় ভালো দেখতে শুধু কালো;
দেড় ফুট বেশী রামার চেয়ে বিনিই উঁচু জানো,
তাতেও লোকে কম হাসে না ফিসফিসিয়ে বলে;
শুনতে পেলে মুখটি টিপে হাসতো কাজের তালে।
বৌ এর সাজে প্রথম যেদিন পশে স্বামীর বাড়ি ;
ঘরখানি তার মাটির দেওয়াল ছাউনি গমের কাড়ি,
ধূসর মলিন মাটির দেওয়াল যতনে পায় প্রাণ;
মধুর সুরে পরম সুখে ঘরখানা গায় গান।।


বিয়ের পরে চাঁদের আলোয় রামের মধুর হাসি;
যত না হাসে কৌতুকে সে দশ গুনাগুন বেশী,
সততা তাহার শক্তি চলার সততাই অহংকার;
বিনিই এখন মাটির ঘরের স্বপ্ন পরী সততার,
কাজের ফাঁকে বৌয়ের পিছে ঘুর্ ঘুর্ সে করে;
নতুন বৌ এর লাজে বলে দাওয়ার কথাও ঘরে,
গভীর খুশির জোয়ার বিনির সকাল দুপুর সাঁঝ;
গরিব হলেও জীবন ভরে ভালোবাসায় আজ,
শীতল বাতাস প্রেমে উদাস দখিনা হাওয়ায় মাতে;
বিনির কোলে মাথা রেখে দাওয়ায় রামার কাটে।।



DHRITI RAJ
আসিতেছে.... মাটির দেওয়াল ঘর (পঞ্চম খন্ড)