ফারচ হাসার মুখখানা তার, বিনির ভুবন ভরা,
শতকষ্টে প্রাণ আছে দেহে দেখিতে শেষের দেখা
নিথর শরীরে আছে শুধু পড়ে দেয় নাতো কোন সাড়া
কেন যেন হঠাৎ বিনির শরীরে, ঠোঁটে-মুখে দেয় নাড়া
হয়তো বলিত "ভালোবাসে যদি গেল কেন মোরে ছাড়ি?
মরিলে মরিতাম হৃদমাঝে তার থাকতো শুধু সে বাড়ি,
নয়তো বলিত কাজ না করিত থাকত আমার পাশে
খাটুনি জোরে, নাহি পারিলে, দিতেম রক্ত বেচে,
বলিত বুঝি - "কলিজা খানি, খুবলে রাখো যতনি
আসিলে রামা নিবে ভালোবাসা কলিজা বুকে চাপি",
নাহয় মোরে বলিত ক্রোধে "হীন"! কেন আজি জানালে!
নির্মম তুমি নির্দয় তুমি; হৃদয় ফাটে নিশ্বাস নিঃশেষে!


কত কথা ভীড় মনে আসে ধীর; সকলই যে দূরে রাখি
মহা বিশ্বের মহামায়া জালে আমি মহা অপরাধী!
ক্ষণিক ভাবিয়া উঠিনু কাঁদিয়া হে সর্বংসহা মানবী
গুমরে গুমরে অশ্রু বহে দেখিয়া শেষের পরিণতি,
চকিত চাহনে দেখিল কেহ শরীর নাহি যে নড়ে
দূর থেকে কেহ দেখিল দূরে দেহান্ত দেহ পড়ে,
দেওয়াল বিনে সজল নয়নে কাহারো নাহি অনল
মায়ার বাঁধনে পরম স্বজনে বুঝিয়ে দিলে ফাটল্,
ছিল যে জনে সেও গেল চলে; করোনা যে মহামারী
জীবন মরণে সব ব্যাথা সয়ে দেওয়াল গেল না ছাড়ি,
চির্-ফাটলে জীর্ণ ঘরে শুধু বেরঙ কখানা জামা
মাটির দেওয়াল পরম সাথী শান্তির শেষ ঠিকানা।



DHRITI RAJ
আসিতেছে..... এই কাব্যের শেষ খন্ড ।
মাটির দেওয়াল ঘর (একাদশ খন্ড)